বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ভবন সংলগ্ন খানা-খন্দে ভরা সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ সড়কে বিভিন্ন সংস্থার কাজের ফলে বছর ধরে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এ সড়কটির অবস্থা সবচেয়ে করুন। বেহাল সড়কের কারণে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ইউজিসিতে আসা দেশ-বিদেশের উচ্চশিক্ষায় সংশ্লিষ্টদের কাছে ইউজসিকে বিব্রত হতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বেশিরভাগ গর্তগুলো সৃষ্টি হয়েছে ইউজিসির প্রবেশ দ্বার ও সংলগ্ন স্থানে। ফলে কমিশনে আসা অতিথিরা রাস্তার গর্তের নোংরা পানিতে নাকানি চুবানি খেয়েই ভেতরে প্রবেশ করেন। এতে যানবাহনেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। ভাঙ্গা সড়ক ব্যবহার করতে যেয়ে প্রায়ই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৪ জানুয়ারি) এডিবির পদস্থ এক কর্মকর্তার গাড়ি ইউজিসিতে প্রবেশের সময় গাড়ির পিছনের একটি অংশ ভেঙে গেছে বলে ইউজিসির এক কর্মকর্তা জানান।
পানিতে ডোবা ভাঙা রাস্তা দিয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন, পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘর, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, পিকেএসএফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কোস্ট গার্ড, মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও সংগীত কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদেরকে যাতায়াত করতে হয়। এতে বহু মানুষের চলাচল ও প্রতিদিনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, দেশের ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তদারকির দায়িত্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। প্রতিদিন বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, দূতাবাসের পদস্থ কর্মকর্তা, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শিক্ষা প্রশাসক, পরিকল্পনাবিদ, বিভিন্ন কাজে ইউজিসিতে আসেন। তারা সড়কের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরেন। অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আমরা বিব্রত হই। সংশ্লিষ্টদের কাছে ভবন সংলগ্ন সড়কটি অতিদ্রুত সংস্কারের দাবি জানান ইউজিসির চেয়ারম্যান।