ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় ভাঙারির একটি দোকানে ৩৮ মণ সরকারি বইয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনা তদন্তে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, নবীনগর উপজেলা সদরের তিতাস নদীর তীর সংলগ্ন শহিদ মিয়ার ভাঙারির দোকানে শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে একাধিক ভ্যান গাড়ি থেকে অসংখ্য বই নামাতে দেখেন স্থানীয়রা। বই নিয়ে তাদের কৌতূহল দেয়। তারা জানতে পারেন, বইগুলো উপজেলার ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আনা হয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসব বইয়ের মধ্যে ২০১৫ থেকে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের অনেক বইও রয়েছে।
ভাঙারি দোকানদার শহিদ মিয়া বলেন, নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১২ টাকা কেজি দরে প্রায় ১৮ হাজার টাকায় তিনি প্রায় ৩৮ মণ ওজনের বই হকার দিয়ে কিনে এনেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন বলেন, সরকারি যে কোনো জিনিস নিলাম ছাড়া বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে সরকারি বই যদি ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের আগেরও হয় সে ক্ষেত্রেও একটি কমিটির মাধ্যমে যথাযথ অনুমতি নিয়ে এসব বই বিক্রি করা দরকার ছিল।
নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউছার বলেন, স্টোর রুম থেকে পুরাতন বই খাতা সরানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষক নীহার রঞ্জন চক্রবর্তীকে। কিন্তু বই বিক্রি সম্পর্কে আমি অবগত নই।
তবে নীহার রঞ্জন চক্রবর্তী প্রশ্ন তোলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ ছাড়া আমি বই বিক্রি করবো সেটি কি কেউ বিশ্বাস করবে?
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। আগামী ১৬ এপ্রিল কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।