সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় শিফটের ভাতা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষকরা। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মানববন্ধন, অবস্থান ও কর্মবিরতি পালন।
বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি (বাপশিস), বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদ (বাপশিপ), টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষক সমিতি ও পরিষদ এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও অধিদপ্তরাধীন কর্মচারী সমিতি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকার দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্বিতীয় শিফট চালু করেছে। কিন্তু এক শিফটের শিক্ষক-কর্মচারী দিয়েই দুই শিফট চালানো হচ্ছে। এ জন্য এত দিন সরকার শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত ভাতা দিয়ে আসছিল এবং তা আরো বাড়ানোরও কথা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে ২০০৯ সালের বেতন স্কেলের ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত ভাতা প্রাপ্য হবেন বলে বলা হয়েছে, যা বর্তমান স্কেলের ২৫ শতাংশ। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে ভাতার টাকা উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ৫ মার্চ দ্বিতীয় শিফটের প্রতীকী ক্লাস বর্জন, ৯ মার্চ কেন্দ্রীয়ভাবে মানববন্ধন, ১৪ মার্চ কারিগরি অধিদপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি, ১৮ থেকে ২১ মার্চ দ্বিতীয় শিফটে কর্মবিরতি এবং দাবি আদায় না হলে ২৮ মার্চ থেকে দ্বিতীয় শিফটে লাগাতার কর্মবিরতি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রকৌশলী মো. তাহের জামিল, এ এম জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।