ময়মনসিংহের ভালুকায় ফারজানা আক্তার নামের মাদরাসা পড়ুয়া এক শিশুশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের ঢাকিরভিটা নামক এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও পরিবার সুত্র জানায়, ওই এলাকার হতদরিদ্র গার্মেন্টস কর্মী ফজলুল হকের সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু কন্যা ও স্থানীয় ফুরকানিয়া মাদরাসার ছাত্রী ফারজানা আক্তার শুক্রবার দুপুরে বাড়ীর পাশের একটি বিয়ে বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়। দিনভর খোঁজাখুজি করে তার সন্ধান পায়নি স্বজনরা। রাত ৯টার দিকে একটি বাঁশের ঝোপে গলায় রশি দিয়ে একটি বাঁশের সাথে ঝুলানো অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। মুহুর্তের মধ্যে ঘটনাটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রীর স্বজনসহ এলাকার লোকজন এসে জড়ো হয় ওই জঙ্গলে।
পুলিশ খবর পেয়ে গভীর রাতে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং পরে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাতেই ছড়িয়ে পড়ে এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শনিবার (১০ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার শাহ মোঃ আবিদ হাসান। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দ্রুত জড়িতদের খোঁজে বের করার জন্য ডিবি পুলিশ ও ভালুকা মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী ফারজানার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের দাবি দুষ্কৃতকারীরা মেয়েকে কোথাও আটকে রেখে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। মরদেহের পাশ থেকে বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িত নরপিচাশদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।