হবিগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে ভালো স্কুলে ভর্তির প্রলোভনে সিলেটে এনে অপহরণ করা হয়। এরপর মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। তবে পুলিশ রোববার রাতে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করেছে।
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউদা গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে সিলেটে নিয়ে আসে একই উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আবদুর নুরের ছেলে লিটন মিয়া। শুক্রবার নগরীর সোবহানীঘাটের ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়ার পর একপর্যায়ে হাসপাতালের একপাশে মাকে রেখে ১২ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় লিটন মিয়া। পরে মায়ের মোবাইলে ফোন করে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মেয়ের মা নিরুপায় হয়ে শুক্রবার রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন। পুলিশের কৌশলমতে মেয়ের মায়ের দেয়া টাকা বিকাশ থেকে নেয়ার জন্য বিকাশ এজেন্টের দোকানে যায়। ওই দোকানে আগ থেকেই পুলিশ সাদা পোশাকে অবস্থান নেয়। অপহরণকারী লিটন আসা মাত্রই তাকে আটক করে মেয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে অপহরণের কথা স্বীকার তার এক বন্ধুর বাসায় মেয়ে আছে বলে জানায়।
পুলিশ তাকে দিয়ে ফোন করিয়ে ওই মেয়েকে ইবনে সিনা হাসপাতালে আনায়। এভাবেই উদ্ধার হয় মেয়েটি।
কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী জানান, মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মেয়ের মা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আশ্রয়দাতা বন্ধুকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।