ভাষা পরিবর্তনশীল। কিন্তু এই পরিবর্তন বা আধুনিকতার নামে ভাষার বিকৃতি কখনোই কাম্য নয়। পরিবর্তন যেমনই হোক, ভাষার মাধুর্য, সৌন্দর্য ও বোধগম্যতা রক্ষা করা জরুরি। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে এর যথার্থ প্রয়োগ করতে হবে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, ইদানীং বাংলা শব্দের সঙ্গে ইংরেজি শব্দের সংমিশ্রণ বেশ লক্ষণীয়। কথা বলার সময় বাংলা-ইংরেজি মিশ্র ভাষায় কথা বলতে দেখা যায়।
মাঝে মধ্যে ইংরেজি কয়েকটি শব্দ না বললে যেন স্মার্টনেস কমে যায়। কথা ইংরেজিতে বললে পুরোটা ইংরেজিতে বলা যায়।
বাংলা-ইংরেজির মিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলা ভাষার অপব্যবহার করা উচিত নয়। টেলিভিশন ও এফএম রেডিওতে অনুষ্ঠান উপস্থাপকরা শ্রোতাদের মনোরঞ্জনে ইংরেজি, হিন্দি ও বাংলাকে ইংরেজির মতো করে বাংলিশ কায়দায় কথাবার্তা বলেন।
এতে নতুন প্রজন্ম নিজেদের স্মার্ট প্রমাণ করতে তা অনুসরণ ও অনুকরণ করে। এতে ১৯৫২ সালের ভাষার ইতিহাস, মাতৃভাষার জন্য রক্তের বিনিময়ে করা সংগ্রামকে ভুলে যাই। ভাষার তাৎপর্যও ম্লান হয়। ভাষার বিকৃতি রোধে সরকারি ও সামাজিক উদ্যোগ জরুরি।
মো. জিল্লুর রহমান, সতীশ সরকার রোড, গেণ্ডারিয়া, ঢাকা।