ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের নাম পরিবর্তন করার উদ্যোগের খবরটি নিছকই গুজব। ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশসেরা ছাত্রীদের স্কুল ভিকারুননিসার নাম পরিবর্তনের উদ্যোগের খবরটি ছড়িয়ে পড়ে ভিকারুননিসা বর্তমান ও সাবেক ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। দৈনিক শিক্ষার কাছে জানতে চান নাম পরিবর্তনে সরকার তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকৃত সিদ্ধান্তের বিষয়ে।
এমন প্রেক্ষাপটে রোববার সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইনের সাথে। তিনি বলেন, আজ দুপুরে কয়েকজন সাংবাদিক আমার কাছে জানতে চেয়েছেন নাম পরিবর্তনের কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছে কি-না? ‘এমন কোনও উদ্যোগ বা সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় বা সরকার নেয়নি বলে আমি সাংবাদিকদের সাফ জানিয়ে দিয়েছি,’ যোগ করেন সচিব।
তিনি বলেন, নাম পরিবর্তনের জন্য কোনও মহল থেকে দাবি উঠেছে বলেও আমার জানা নেই। এত পুরনো একটি প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করতে অনেকের সম্মতি প্রয়োজন। এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে হলে সম্মিলিতভাবে নিতে হবে।তাই আপাতত ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের নাম পরিবর্তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন উদ্যোগ নেই।
সোহরাব হোসাইন আরও বলেন, ভিকারুননিসায় ভর্তি, নিয়োগ, অভিভাবক ও ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকদের দূর্ব্যবহার ও পরিচালনা পর্ষদ বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে যা বন্ধে শিগগিরই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। পাকিস্তানের গভর্নর ফিরোজ খান নূনের সহধর্মিনী ভিকারুননিসা নূন ঢাকায় মেয়েদের একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুরু করার লক্ষ্যে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নামানুসারেই স্কুলটির নামকরণ করা হয়।
গত ২রা ডিসেম্বর রোববার ওই স্কুলে পরীক্ষা চলার সময় অরিত্রী অধিকারী নামে নবম শ্রেণিরএক ছাত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে নকল করার অভিযোগ ওঠে এবং পরদিন তার বাবা-মাকে ডেকে এনে তিরস্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেদিনই অরিত্রী শান্তিনগরে তাদের বাড়িতে ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানান তার অভিভাবকরা। এরপর তিন শিক্ষককে বরখাস্ত, মামলা, গ্রেফতার, আন্দোলন, অনশন ও গ্রেফতার শিক্ষক হাসনা হেনার জামিনে মুক্তিসহ নানা ঘটনা ঘটে।