আগের সিদ্ধান্ত অনুসারেই রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে হাসিনা বেগমকে বহাল করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের কারণে সারাদেশে অধ্যক্ষ নিয়োগ বন্ধ থাকায় অব্যহতি দেয়া অধ্যক্ষ হাসিনা বেগমকেই গতকাল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব ফিরিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির গভনিং বডি। পাশাপাশি শিক্ষার স্বার্থে স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগে সহায়তা চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির গভর্ণিং বডির সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদার গতকাল সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গত ১০/১২ বছল ধরে স্থায়ী কোন অধ্যক্ষ ছাড়া ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে চলছে ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এ সংকট হচ্ছে। এজন্য আমাদের শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রীরা একজন স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ার দাবি করছেন। আমরা চেয়েছিলাম সরকারি সকল আইন মেনে একজন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে। সে অনুসারে কার্যক্রমও চলেছে। যেহেতু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগমও অধ্যক্ষ পদের জন্য একজন প্রার্থী ছিলেন তাই নিয়োগের স্বচ্ছতার জন্য তাকে অব্যহতি দিয়ে আরেকজনকে দায়িত্ব দিয়েছিল গভনিং বডি। গভর্ণিং বডির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ অনুমোদন না করে তাহলে হাসিনা বেগমকেই স্বপদে ফিরিয়ে আনা হবে। এজন্য বৃহস্পতিবারের সভায় আমরা আগের সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন করেছি।’
বৈঠকের পর কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক বলেছেন, সম্প্রতি অরিত্রী অধিকারি আত্মহত্যার ঘটনার পর ছাত্রীদের আন্দোলকে পূঁজি পরে বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা শিক্ষক ও অভিভাবকরা প্রতিষ্ঠানটিতে অস্থিরতা তৈরির পায়তারা করেছিল। তবে গভর্ণিং বডির সভাপতি ও কয়েকজন সদস্যের কঠোর অবস্থানের কারণে বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা ব্যর্থ হয়। এরাই গত কয়েকদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে অচলাবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা চালায়।
এর আগে গত সপ্তাহে অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়াকে অবৈধ বলে চিঠি দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এতে বলা হয়, সরকারি আদেশ অনুসারে এখন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ নিয়োগ বন্ধ।
জানা গেছে, গত ৯ ডিসেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভিকারুন নিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত ১ জানুয়ারি আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। নিয়োগ প্রত্যাশী ১৬ প্রার্থীর আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছয়জন ও বাইরে থেকে ১০ জন প্রার্থী আবেদন করেন।