রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তির সময় ১ দিনের পরিবর্তে সাত দিন নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। একই সাথে চলমান অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অভিভাবক ফোরামের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস। এসময় ফোরামের সদস্য অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটিতে অভিভাবকদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত গভর্নিং বডি থাকা সত্ত্বেও অধ্যক্ষ ফওজিয়া রেজুলেশন না করেই ও অভিভাবকদের মতামত না নিয়েই সভাপতি জয়নুল বারীর দোহাই দিয়ে অনলাইনে এক দিনে সময় সীমা দিয়ে ভর্তির তারিখ নির্ধারণ করে নোটিশ জারি করেছেন। অর্থাৎ ওইদিন কেউ ভর্তি না হলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি হতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: ফরম পূরণে ভিকারুননিসার পৌনে তিন কোটি টাকার বাণিজ্য!
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, একদিনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় যারা ভর্তি হতে ব্যর্থ হবে এবং অন্য স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যেসব নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভিকারুননিসায় ভর্তি হতে হবে না, ওই শূন্য আসনগুলোতে অবৈধ পন্থায় শিক্ষার্থী ভর্তি করবে একটি মহল। তাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অনলাইনে ভর্তি স্থগিত করার দাবি জানান। একই সাথে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রেখে কমপক্ষে ৭ দিন ভর্তির সময় সীমা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
সংবাদ সম্মেলনে এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন অভিভাবকরা। তারা বলেন, এইচএসসির ফরমপূরণের ফি ২ হাজার ৫০০ টাকা হলেও ভিকারুননিসা নূন কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৪ হাজার ৪০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। যার অধিকাংশের জন্য রশিদ দেয়া হচ্ছে না। অতিরিক্ত টাকা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা ভাগাভাগি করার পরিকল্পনা করেছেন। তাই, ফরমপূরণে নেয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যাপক ফৌজিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি গত তিন মাস আগে এ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছি। সরকারি বেতন-ভাতা ছাড়া বাড়তি কোনো অর্থ আদায় করিনি। তবে প্রতিষ্ঠানের বাড়তি দায়িত্ব পালন বাবদ বেশকিছু অর্থ আয় হচ্ছে, সে অর্থ অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষক পেয়ে থাকেন।’
তিনি বলেন, গত ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করানো হয়েছে। নিয়ম মেনে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত লটারিতে নির্বাচিতদের ভর্তি করানো হবে। ২৯ ডিসেম্বর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমাণ থেকে ভর্তি নেয়া হবে। ভর্তি কার্যক্রমে কোনো ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা করা হয়নি।
অধ্যাপক ফৌজিয়া আরও বলেন, ‘আমি যোগদান করার পর থেকে নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকি, ছুটি ছাড়া কোনো দিন অনুপস্থিত থাকিনি। প্রতিদিন জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময় উপস্থিত হয়েছি। কোনো স্তরে এ পর্যন্ত অতিরিক্ত কোনো ভর্তি করানো হয়নি। অভিভাবকদের অনুরোধে পাবলিক পরীক্ষার আগে মডেল টেস্ট চালু রাখা হয়েছে। এ বাবদ টাকা কমানো হয়েছে।’