গৌরনদী উপজেলার সদরে গণধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার মাদরাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (১১ মার্চ) মামলা হয়েছে। এ মামলায় আবদুর রব সেরনিয়াবাদ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দুই ছাত্র সাদিক সরকার ও সারওয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামি শাওন পলাতক রয়েছে।
শাওন পটুয়াখালি জেলার গলাচিপা উপজেলার ইট বাড়িয়া গ্রামের মো. মোশারফ হোসেনের ছেলে। সাদিক গাইবান্ধা সদরের নশরতপুর গ্রামের মো. মোকসেদুল সরকারের ছেলে। সারওয়ার হোসেন শেরপুর সদরের কালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা তিনজন গৌরনদী পৌর সদরের উত্তর বিজয়পুর মহল্লায় ভাড়া থাকত।
পুলিশ জানায়, দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র শাওনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর (১৫) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে শাওন তাকে ফোন করে মেসে আসতে বলে। মেয়েটি আসলে শাওন, তার বন্ধু সাদিক (১৭) ও সারওয়ার (২১) ধর্ষণ করে। এসময় তারা ধর্ষণের চিত্র ভিডিও করে। পরে শাওন ছাত্রীকে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করায় মামলা করতে বিলম্ব হয়।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহাবুবুর রহমান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, প্রধান আসামি শাওন পলাতক রয়েছে। ওই ছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালত ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।