ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলে ভিপি নুরুল হক নূর ও তার সাথে থাকা অন্যদের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনা তদন্তে এক সপ্তাহ সময় নিয়েছেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দিতে উপাচার্যের নেওয়া সময় শেষ হওয়ার পর তার কাছে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি আরও এক সপ্তাহ সময় নেন।
এসময় উপাচার্যের কাছে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে জানতে ভিপি নুরের সঙ্গে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বেনজির আহমেদ ও ডাকসুর ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অরণি সেমন্তি খানও গিয়েছিলেন ।
উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার পর সালমান সিদ্দিকী বলেন, উপাচার্য স্যার আমাদের বলেছেন, এসএম হলের ঘটনায় তদন্ত কমিটি তাদের কাজ চলমান রেখেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তিনি আমাদের কাছে এক সপ্তাহ সময় নিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সব কিছু বিবেচনা করে আমরা আগামী শনিবার পর্যন্ত দেখব। এরপরও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরা আন্দোলন কমসূচিতে যাব।
তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম হয়ত শেষ হবে না। কারণ প্রায় ৫০-৬০ জনের সাক্ষ্য, বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ চেক করতে হবে। তবে আমরা যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করব। সোমবার কমিটির কাজ শুরু হয়েছে। কয়েক দিন অফিস ছুটি থাকায় কাজ করতে পারেননি তারা। এর মধ্যে কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হয়।
উল্লেখ্য ১ এপ্রিল রাতে মো. ফরিদ হাসান নামে এসএম হলের এক আবাসিক ছাত্রকে মারধর করে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদে ২ এপ্রিল বিকালে মিছিল নিয়ে এসএম হল প্রধ্যাক্ষকে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন ভিপি নূর। এ সময় নূর ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলা ও ডিম নিক্ষেপ করা হয়। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় একজন আহত হন বলে অভিযোগ নূরের। হামলার পর ওই দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে পরদিন সকাল পর্যন্ত প্রায় ১৪ ঘণ্টা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করেন নূর ও তার সঙ্গীরা। পরে সকাল ৯টার দিকে উপাচার্য আখতারুজ্জামান অবস্থানকারীদের কাছে এসে আন্দোলন স্থগিতের অনুরোধ জানান। সোমবারের মধ্যে এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।