ভুল সেট কোডে পরীক্ষা, ফাঁসছেন শিক্ষা কর্মকর্তা - দৈনিকশিক্ষা

ভুল সেট কোডে পরীক্ষা, ফাঁসছেন শিক্ষা কর্মকর্তা

রুম্মান তূর্য |

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অবহেলায় শরীয়তপুরের ডামুড্যায় জেএসসির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পরীক্ষা ভুল কোডে গ্রহণ করা হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জেএসসির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পরীক্ষা চলাকালীন ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর এস সি এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউশন পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানিয়েছেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের। পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ডামুড্যার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল মুকিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন ডিসি।  

জানা গেছে, গত ১২ নভেম্বর জেএসসির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষাটি (বিষয় কোড: ১৫০) শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর এস সি এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউশন পরীক্ষা কেন্দ্রে সেট কোড-১ এ নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও ভুলক্রমে তা সেটকোড-২ এ নেয়া হয়েছে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, বোর্ড থেকে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশনা ম্যাসেজ দিয়ে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও ডামুড্যা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে কেন্দ্র সচিবদের পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু কনেশ্বর এস সি এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. আলমগীর হোসেন মাঝি এবং ডমুড্যা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল মুকিম বোর্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করতে ব্যর্থ হন। 

ডামুড্যা উপজেলা প্রশাসন দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্র সচিব ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো চিঠিতে কর্তব্যে চরম অবহেলা ও অসদাচরণের দায়ে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল মুকিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মহাপরিচালককে অনুরোধ করেছেন।

তবে পরীক্ষার্থীদের ফলে যাতে এ ভুলের প্রভাব না পরে তা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জনিয়েছে ডামুড্যা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডামুড্যার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল মুকিম দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে আমাকে পুলিশের সাথে প্রশ্নপত্র আনার কাজে নিয়োজিত করা হয়। আমি তাই করেছি। বোর্ড থেকে আমাকে কোন ম্যসেজ পাঠানো হয়নি। সেট কোড সংক্রান্ত কোন দায়িত্বে আমি ছিলাম না। এটি কেন্দ্র সচিবের কাজ। 

উপজেলা প্রশাসনের পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিস সম্পর্কে কাজী আব্দুল মুকিম বলেন, আমি নোটিসটি পেয়েছি। শিগগিরি জবাব পাঠাবো। 

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003838062286377