হাজারো ভুল ধরা পড়েছে সদ্য প্রকাশিত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য তৈরি করা খসড়া তালিকা। তালিকায় কমপক্ষে হাজারখানেক ভুল রয়েছে। ঠিকঠাকমতো জমা দিলেও কারো এসিআর নেই, আবার কারো প্রতিস্বাক্ষরকারী সীল নেই, পাঁচ বছর আগের কর্মস্থল দেখাচ্ছে এমন হরেকরকম ভুল। যারা অধিকাংশেরই দায় সংশ্লিষ্ট্ কর্মকর্তার না। তবু ভোগান্তিটা তাদেরই হবে। এসবের জন্য অধিদপ্তরের কলেজ শাখা ও এসিআর শাখার কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, উদাসীনতা ও গাফেলতিকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। অভিযোগকারীরা সহকারি থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিযোগ্য। নাম না প্রকাশের শর্তে তারা দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কেউ কেউ ফেসবুকে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখায় কর্মরত সহকর্মীদের অদক্ষতার কথা লিখেছেন।
একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মাউশি অধিদপ্তরের এসিআর শাখা বন্ধ করে দেয়া উচিত, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের এসিআর চায় ২০২০-এ। চাইলেই এসিআর তৈরি করা যায় না। প্রতিস্বাক্ষরকারীর কেউ মারা গেছেন, কেউ বিদেশে ইত্যাদি..’
আরেকজন লিখেছেন, ‘ সব কর্মকর্তার এসিআর সংশোধনের জন্য যাতায়াত বাবদ কমপক্ষে এক কোটি টাকা খরচ হবে। উইথ আনলিমিটেড হ্যারাসমেন্ট।’
সাজেদা পারভীন ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। সেই সময়ে তার এসিআরে লেখা ছিলো ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম অংশের আংশিক এসিআর নেই। সেটি জমা দেয়ার পরই পদোন্নতি দেয়া হয়েছিলো সাজেদাকে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খসড়া তালিকার মন্তব্যের ঘরে লেখা আছে সেই এসিআর নেই। কর্মস্থল দেখাচ্ছে ২০১৬-তে যেখানে ছিলো সেখানেই। তাহলে প্রশ্ন আসে সেই সময়ে পদোন্নতি দেয়া হলো কোন এসিআর দেখে?