প্রশ্ন প্রণয়ন ও মডারেশনে ত্রুটি এবং পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির অবহেলায় নাটোরের লালপুরে ভুলে ভরা প্রশ্নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ প্রথম দিনের ইংরেজী পরীক্ষা এ ঘটনা ঘটে ভুলে ভরা প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছে শিক্ষার্থীরা। বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়েছেন শিক্ষকরা।
উপজেলার বরমহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মোমিন শাহিন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক সাথে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের ইংরেজী পরীক্ষায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছিল নানা রকম ভুলে ভরা। প্রশ্নপত্রের নির্ধারিত স্থানে নির্ধারিত প্রশ্ন পায়নি শিক্ষার্থীরা।
তিনি আরও জানান, দিনের প্রথমার্ধে দ্বিতীয় শ্রেণির পরীক্ষার মোট সাতটি প্রশ্নের তিনটিতেই ভুল দেখা যায়। এক নম্বর প্রশ্নের সি নম্বরে ভুল রয়েছে, তিন নম্বরে কোন প্রশ্নই দেয়া নেই এবং ৬ নম্বর প্রশ্নের জায়গায় ৯ নম্বর লেখা হয়েছে। এছাড়া ৪র্থ শ্রেণির ১০ নম্বরে কোন প্রশ্ন নেই। এছাড়া তৃতীয় শ্রেণির প্রশ্নপত্রেও ভুল ছিল।
করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনর রশিদ নিউটন প্রশ্নে ভুলের কথা স্বীকার করে দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, শিশু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল থাকাটা গ্রহনযোগ্য নয়। প্রশ্নে ভুলের ব্যাপারে এটিওকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, ‘প্রশ্নে ভুল থাকাটা দুঃখজনক, এতে পরীক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। প্রশ্ন প্রণয়ন, মডারেশন ও পরীক্ষা পরিচালনার জন্য এটিওর নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে। তারা প্রশ্ন প্রণয়ন থেকে শুরু করে পরীক্ষার সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন। এমন ঘটনার আর যেন না ঘটে সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে’।
