ভুয়া বিএড সনদে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের ৮ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ ও পদোন্নতি বাগানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত এ ৮ শিক্ষকের সবাই রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এ সনদ গ্রহণ করেছেন।
অভিযুক্ত ৮ শিক্ষক হলেন মনিরুল হাসান, মো. আব্দুর রব, মো. মোক্তার হোসাইন, শামীমা আজাদ, আব্দুল কাদের, মো. বিল্লাল হোসেন, মো গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ আলী মোর্তুজা। তারা সবাই ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা থেকে পাস করেছেন। যদিও রয়েল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ৮ শিক্ষকের সব সনদই ভুয়া।
তবে, শিক্ষকদের দাবি তারা যখন ভর্তি হয়েছেন তখন রয়েল কর্তৃপক্ষ বলেছিলো বিএড বিষয়ে ইউজিসির অনুমোদন রয়েছে। পরে জানা যায়, যখন ভর্তি করিয়েছেন তার পরের বছর অনুমোদন পেয়েছে। তাই রয়েল কর্তৃপক্ষ দুইরকম কথা বলছে। এ বিষয়ে রয়েল ইউনিভার্সিটির কেউ কথা বলতে চান না।
জানা যায়, সনদ নিয়ে অভিযোগ আসার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ চিঠি দেয় রয়েল ইউনিভার্সিটিতে। অধ্যক্ষ শাহানারা বেগমের স্বাক্ষরিত চিঠির জবাবে বিশ্ববিদ্যায় প্রশাসন জানান, ‘৮ জনের সনদই ভুয়া।’ সনদগুলো পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, ৮ শিক্ষকই ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে বিএডয়ের সনদ লাভ করে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর শুরু হয় তাদের বিএড কোর্স। ৮ শিক্ষকের সনদগুলো ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের, যেগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের নথিতে নেই এ বিষয়ে কোনো তথ্য। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেড় বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
আরও দেখুন: জাল সনদধারী শিক্ষকরা বেপরোয়া, শিক্ষামন্ত্রীকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা (ভিডিও)
জাল সনদ : চাকরি ছাড়লেন দুই শিক্ষক
জাল সনদে চাকরি বহাল তবিয়তে সেই দুই শিক্ষক
জাল সনদে স্কুলের গ্রন্থাগারিক পদে চাকরির অভিযোগ
শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদে ৮ বছর ধরে চাকরি !
এ ব্যাপারে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একবার বলেছে সার্টিফিকেট ঠিক আছে, আবার বলছে ভুয়া। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।’
তবে এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে চাননি আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ শাহানারা বেগম।