রাজশাহীর বাগমারা কোয়ালীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভুয়া শিক্ষকের নামে এমপিও ভোগের অভিযোগটি দুই মাসেও তদন্ত হয়নি। বিদ্যালয়টিতে অস্তিত্বহীন একজন শিক্ষকের নামে এমপিও ভোগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আসে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালেয়ে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে গত ৩ জানুয়ারি বাগমারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে তা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্ত, নির্দেশের ২ মাস পরও তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়নি আঞ্চলিক কার্যালয়ে।
জানা গেছে, অস্তিত্বহীন এক শিক্ষকের নাম এমপিওভুক্ত করে অবৈধভাবে বেতনভাতা উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে। এ প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান প্রামানিককে শোকজ করা হয়। গত ৩ জানুয়ারি রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তৌহিদ আরার স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জুরুরি ভিত্তিতে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হলেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিবেদন দাখিল করেননি।
এ বিষয়ে রাজশাহী অঞ্চেলের উপপরিচালক তৌহিদ আরা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো তদন্তের প্রতিবেদন আসেনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান প্রামানিক দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘আমি মৌখিক ও লিখিতভাবে গত এক মাস আগে বাগমারার মাধ্যমিকের উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে জবাব দিয়েছি’। রাজশাহীর আঞ্চলিক কার্যালয়ে তা জমা না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
বাগমারার মাধ্যমিকের উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের দাবি, স্ব-শরীরে অভিযুক্তরা উপজেলা শিক্ষা অফিসে জবাব দিয়েছে। এখন তাদের লিখিত জবাব পেলে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অফিসে পাঠানো হবে। অভিযুক্তরা লিখিত জবাব দিলে কয়েকদিনের মধ্যেই রাজশাহীতে পাঠানো হবে।