ভোল পাল্টাচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডারের সুবিধাভোগীরা - Dainikshiksha

ভোল পাল্টাচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডারের সুবিধাভোগীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ভোল পাল্টাতে শুরু করেছেন গত সাড়ে নয় বছরে সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের একটি অংশ। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ৬ জানুয়ারি শিক্ষা ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নুরুল ইসলাম নাহিদ। মন্মথ বাড়ৈ মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব নিযুক্ত হন। নজিরবিহীন দুর্নীতির দায়ে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় বাড়ৈকে। এপিএস থাকাকালীন বাড়ৈর মাধ্যমে নানা পরিচয়ে অথবা পরিচয় গোপন করে অতি দ্রুত পদোন্নতি ও শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বাগানো কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ নতুন হিসেবনিকেশ শুরু করেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারা বিজয়ী হতে পারেন, কে নতুন শিক্ষামন্ত্রী হতে পারেন ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে কথা বলছেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন, সামাজিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত ও ছাত্রজীবনে মুজিববাদী ছাত্রলীগ ব্যাকগ্রাউন্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা কলেজে কর্মরত একজন অধ্যাপক দৈনিক শিক্ষাকে বলেন,  সম্প্রতি দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়ার নির্দেশে সরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পৃথক সংগঠন হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অতি গোপনে এই সংগঠনের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এমন প্রেক্ষাপটে ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এমন কয়েকজন কর্মকর্তা একটি প্ল্যাটফর্ম করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু গত সাড়ে নয় বছর ধরে যারা শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন,  তারা কেউই আওয়ামী লীগপন্থীদের ওই সংগঠনে থাকতে চান না। উদোক্তাদের এড়িয়ে চলছেন। সমিতি থাকতে ফোরাম থাকতে আবার আবার স্বাধীনতা বিসিএস শিক্ষক পরিষদ কেন? ইত্যাদি প্রশ্ন তুলছেন তারা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মরত একজন অধ্যাপক বলেন, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের শ্যালিকা অধ্যাপক নাছরিন বেগম বিসিএস শিক্ষা সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েই তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীর রাজনৈতিক অফিসে সমিতির দেড়শতাধিক সদস্যকে নিয়ে বৈঠক করেন। নজিরবিহীন এই ঘটনার জন্য তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করার দাবি ওঠে সমিতির নিরপেক্ষ সদস্যদের মধ্য থেকে।

শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত এই অধ্যাপক দৈনিক শিক্ষাকে আরও বলেন, একইভাবে বিএনপিপন্থী শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা অধ্যক্ষ জাকির হোসেন জামাল, মাহবুবা ইসলামসহ কাউকে ঘাঁটাতে চায় না বর্তমান প্রশাসন। জাকির হোসেন জামালকে অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় নানা তদবিরে শিক্ষা অধিদপ্তরে। জামালকে কেউ জিজ্ঞেস করেন না তার কলেজের কী অবস্থা? কলেজ ফেলে অধিদপ্তরে কেন?

 

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0052680969238281