ভ্রান্ত নীতি প্রজন্মকে জ্ঞানচর্চাবিমুখ করছে - দৈনিকশিক্ষা

ভ্রান্ত নীতি প্রজন্মকে জ্ঞানচর্চাবিমুখ করছে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

এ যুগের বাস্তবতা নিয়ে বলছি। উন্নত বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে সাধারণ নাগরিকের পড়াশোনার ধারা জীবন-জীবিকার প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। তবে জ্ঞানচর্চার বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পায় না। পাঠক্রমগুলো এ রকম যে নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষাক্রম শেষ হয়। পাঠক্রমের বিন্যাস এমন, অনেক কিছু সাধারণভাবে জানার অবকাশ থাকে, তবে সীমিত সময়ে গভীরভাবে চর্চার সুযোগ থাকে না। এসব দেশে সবাই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়তে আসে না। ইন্টারমিডিয়েট সমপর্যায় পর্যন্ত পড়ার পর রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় ঠিক হয়ে যায় মেধা অনুযায়ী কে কোন ট্রেড কোর্স বা ডিপ্লোমা সম্পাদন করবে। ভবিষ্যতে যারা নানা গবেষণায় যুক্ত থাকবে তারাই চিন্তা করে উচ্চতর জ্ঞান অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে। এ ছাড়া একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েট হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকে। উন্নত দেশ হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী তারা। তাই নিজ দেশের মেধাবীদের পাশাপাশি নানা দেশের মেধাবীদের জায়গা করে দেয় বা বলা যায় আত্তীকরণে নেয়। এভাবে নিজেদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক উন্নয়নে এসব মেধা প্রয়োগ করে। সোমবার (২৪ জুন) কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন এ কে এম শাহনাওয়াজ।

এই বাস্তবতায় আমাদের দেশের শিক্ষানীতি যদি উন্নত বিশ্বের কারিকুলামের অনুকরণে চলতে চায়, তবে হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা থাকবে বেশি। কারণ দুই অঞ্চলের বাস্তবতা আলাদা। আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নে মেধাবী জনশক্তির কর্মভূমিকা প্রয়োজন। ফলে জ্ঞানচর্চাকে উপেক্ষা করে বাজার অর্থনীতির চাহিদা পূরণের উপযোগী জনশক্তি উৎপাদন করলে উপরিকাঠামোর চাহিদা পূরণ হয়তো সম্ভব হবে; কিন্তু ভিত্তিভূমি নড়বড়ে থেকে যাবে, যা কাম্য ভবিষ্যৎ নির্মাণ কঠিন করে তুলবে।

স্কুল শিক্ষা যেদিন অবজেক্টিভ প্রশ্ন আর বৃত্ত ভরাটে আটকে গিয়েছিল, তখন থেকে জ্ঞানচর্চার জায়গাটি উপেক্ষিত হতে থাকল। চূড়ান্ত সংকট তৈরি হলো জিপিএ ৫ ইত্যাদির প্রতিযোগিতা শুরু  হওয়ার পর। এই সংকটকে আরো শক্তিশালী করে ফেলল উচ্চাভিলাষী সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতির ভেতরে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করানোর পর থেকে। এসব নিরীক্ষার বাই প্রডাক্ট হিসেবে বাড়বাড়ন্ত হলো কোচিং বাণিজ্য আর গাইড ব্যবসা। শিক্ষার্থী আটকে গেল কোচিংয়ের পরীক্ষা প্রস্তুতিতে। মুখস্থ করতে থাকল গাইড বই। শিক্ষা নিয়ে তো নিরীক্ষা কম করছে না আমাদের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ। নানা বিতর্কের কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমানোর জন্য অতি সম্প্রতি জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় কিছুটা নম্বর কমানোর কথা শুনেছি। নম্বরবিন্যাসেও কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা রয়েছে। আমার জানা নেই, হয়তো তা কার্যকর হতে পারে। প্রাথমিকভাবে আমার মধ্যে এখনো বিস্ময় কাজ করছে। অর্থাৎ পরীক্ষাকেন্দ্রিক শিক্ষায়ই আমরা আটকে রইলাম।

গত শতকের সত্তর ও আশির দশকেও এ দেশে পাড়ায় পাড়ায় লাইব্রেরি গড়ার প্রবণতা ছিল। বিকেলে-সন্ধ্যায় স্কুল ও কলেজে পড়া ছেলে-মেয়েরা লাইব্রেরিতে এসে পড়াশোনা করত। বই ধার নিত। বন্ধুদের মধ্যে পড়ার একটি প্রতিযোগিতা ছিল। এখনকার প্রজন্মের কাছে এসব অচেনা হয়ে যাচ্ছে। ভালো গ্রেড পাওয়ার জন্য শুধু শিক্ষার্থী নয়, অভিভাবকরাও ছুটছেন কোচিং সেন্টারগুলোতে। এভাবে শিশু শিক্ষার্থী পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোচিং, প্রাইভেট টিউটর এবং প্রশ্নব্যাংক তৈরিতে পুরো দিনমান কাটাতে লাগল আর হারিয়ে ফেলল শৈশব—আত্মবিকাশের নানা সোনালি পথ। সুকুমার রায় পড়া হলো না। হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসনকে চেনা হলো না। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য জানার কৌতূহল তৈরি হলো না। এমন এক কিশোর শিক্ষার্থীকে মননশীল বই পড়ায় ফিরিয়ে আনা কঠিন। এই ধারায় বেড়ে ওঠা শিক্ষার্থী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও পরীক্ষার প্রস্তুতিটাকেই জানল একান্ত আরাধ্য। শিক্ষার্থী হওয়ার পথ বন্ধ করে ওদের নিবিষ্ট পরীক্ষার্থী বানিয়ে ফেললাম। আমি কাছে থেকে দেখেছি, এই ভুল শিক্ষানীতির কাঠামোতে বেড়ে ওঠা ছেলে-মেয়েরা যখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন তখন তাঁদের অনেকেরই জ্ঞানচর্চার জায়গাটি সংকীর্ণ থাকে, যা স্বস্তি ও অস্বস্তিতে ফেলে শিক্ষার্থীদের। স্বস্তি খুঁজে পায় সেই শিক্ষার্থীরা, যারা স্বল্প পুঁজিতে পরীক্ষার নদী পাড়ি দেওয়ায় সরল পথ পেয়ে যায় শিক্ষকের কাছ থেকে। আর অস্বস্তিতে পড়ে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী, যারা কিছু জানার আগ্রহে উচ্চশিক্ষাঙ্গনে পা রেখেছিল।

আমি অতি সম্প্রতির একটি উদাহরণ দিতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো এক বিভাগে সমন্বিত কোর্স হিসেবে প্রাচীন বিশ্বসভ্যতা পড়ানো হয়। এই কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় আমি দ্বিতীয় পরীক্ষক ছিলাম। উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে গিয়ে হোঁচট খেলাম। প্রায় প্রতিটি উত্তরপত্রে অনেকটা একই লেখা। বিশেষ করে কতগুলো তথ্যগত ভুল প্রায় একই রয়েছে সব উত্তরপত্রে। এর মধ্যে বড় দাগে চোখে পড়ল, সমাজতাত্ত্বিক হেনরি মর্গানের একটি তত্ত্ব একইভাবে উল্টে ফেলেছে সবাই। আমি জানি, সভ্যতার ইতিহাস নিয়ে বাংলা ভাষায় লেখা একটি বই বাজারে আছে, যেখানে এজাতীয় নানা ভুল রয়েছে। এ কারণে বইটি আমাদের বিভাগে পাঠ্যতালিকায় রাখা হয়নি। জানলাম, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক এই বইটিই পড়তে বলেছেন। সভ্যতার ইতিহাস পড়াতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন না বলে খুব কম ক্লাস নিয়েছেন এবং পরীক্ষার আগে একটি ঘনিষ্ঠ সাজেশন দিয়ে দিয়েছেন। এভাবে শিক্ষার্থীরা একটি অস্বচ্ছ ধারণা নিয়ে পাঠ শেষ করছে, যার প্রতিফলন উত্তরপত্রে দেখতে পাচ্ছি। একটি নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন এমন অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে। সুতরাং বলা যায়, একটি ভুল নীতি ও পদ্ধতির মধ্য দিয়ে শিশুশিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রজন্মকে এগিয়ে নিচ্ছি।

দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য আর সভ্যতা না জানলে দেশপ্রেম জন্ম নেয় না। এত দিন দেশের প্রতি মমত্ববোধহীন দোআঁশলা ছিল ইংরেজি মাধ্যমে পড়া ছেলে-মেয়েরা। সঠিক জ্ঞানচর্চার অভাবে এখন সাধারণ ধারার ছেলে-মেয়েদের বেশির ভাগের দশা একই রকম হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একটি বড় রকমের স্বার্থপরতা নিজেদের অজান্তেই মনে জায়গা করে নিচ্ছে। বছরখানেক আগের কথা—বাংলাবাজারে একজন পরিচিত প্রকাশকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। শিক্ষিত সজ্জন মানুষ। যখন জানলেন আমার মেয়ে এমএস করার জন্য যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে তখন তিনি খুশি হতে পারলেন না। তাঁর বক্তব্য, ইংল্যান্ডে তো এখন থেকে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাঁর মেয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে। ভবিষ্যতে সেখানে সেটলড হতে পারবে। আমি বুঝলাম না, বিদেশে থেকে যেতে হবে কেন! আমি বললাম, মেয়েকে এ দেশ লেখাপড়া করিয়ে বড় করল। উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশে তার অবদান রাখবে। স্বার্থপরের মতো প্রবাসী হবে কেন! প্রকাশক বন্ধু মানতে পারলেন না। তার উত্তর—দেশে থেকে কী হবে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ছাড়া। হয়তো তাঁর কথায় যুক্তি আছে। তাঁর নিজস্ব যুক্তিতেই তিনি চলছেন। আশঙ্কা এই যে এ ধারার চিন্তা করার মানুষের সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আমার মনে হয়, অবারিত জ্ঞানচর্চার পরিবেশে বড় হলে আত্মকেন্দ্রিকতা ও দেশাত্মবোধহীন সংকীর্ণতা জায়গা করে নিতে পারত না। আমি খুব আশঙ্কার সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠপদ্ধতি নিরীক্ষা করেছি। উচ্চশিক্ষা গ্রহণেচ্ছু বড়সংখ্যক শিক্ষার্থী এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উচ্চমানসম্পন্ন কথিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপদ্ধতি এবং শিক্ষা কার্যক্রম জাতীয় স্বার্থে খুব একটা কাজে লাগার কথা নয়। মাল্টিন্যাশনাল ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানে কিছুটা কাজে লাগতে পারে। আর ক্রেডিট ট্রান্সফার করে বিদেশে চলে যাওয়ার পথ সুগম হতে পারে। কারণ তিন মাস বা ছয় মাসের সেমিস্টারে কয়েকটি কোর্স ও সংশ্লিষ্ট নানা পরীক্ষা সামাল দিতে গিয়ে হ্যান্ডআউট বা নির্ধারিত কয়েকটি স্নাইড মুখস্থ করা ছাড়া জ্ঞানচর্চার কার্যত আর কোনো সুযোগ বা সময় থাকে না। ফলে শহরের আরো তিনটি লাইব্রেরি তো পরের কথা, নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতেও যাওয়ার সুযোগ অনেকেরই হয় না। আর এভাবে অনেকটা বইবিচ্ছিন্ন থেকেই বড়সংখ্যক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে মোটামুটি দর্শনীয় একটি সার্টিফিকেট হস্তগত করে। অন্যদিকে মাঝারি গোছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা সহজেই অনুমেয়।

আমার সব সময় মনে হয়, সূচনাটি ভালো হচ্ছে না বলে উপসংহারে এসেও হতাশ হতে হচ্ছে। সার্টিফিকেট পেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অতিক্রম করা আর জ্ঞানচর্চায় আলোকিত হওয়া এক কথা নয়। আমাদের দেশের শিক্ষানীতি যাঁরা প্রণয়ন করেন এবং শিক্ষা কার্যক্রম যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁদের কাছে বিনীত প্রশ্ন করতে ইচ্ছা হয়—বাংলাদেশের মতো একটি দেশ—যে দেশ উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চাচ্ছে, সে দেশের শিক্ষা পরিচালনায় বিদেশি মডেল, নাকি নিজ দেশের বাস্তবতা মেনে শিক্ষাক্রম তৈরি করা উচিত? আমলাতন্ত্রের বিবেচনায় বন্দি না রেখে জ্ঞানচর্চায় নিবেদিত মেধাবী প্রজন্মকে বেড়ে ওঠার পথ তৈরি করে দেওয়া উচিত। বড় বড় রাজনৈতিক বক্তব্যের মাধ্যমে শিক্ষা-উন্নয়ন সম্ভব হয় না। নানা পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রমে যাঁরা যুক্ত, নিবেদিত, তাঁদেরই যুক্ত করতে হবে নীতি প্রণয়ন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায়, যা প্রায় এ দেশে হয়ে ওঠে না। রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক বিবেচনা সক্রিয় থাকায় যোগ্য মানুষদের আলোতেই আনা হয় না। লাগসই জ্ঞান অর্জনের জন্য যেখানে শিক্ষা-গবেষণায় যুক্ত মেধাবী মানুষদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেওয়া উচিত, সেখানে আমলাতন্ত্রের কর্মকর্তারাই সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে বিদেশ ভ্রমণ করেন বেশি। যে জ্ঞান প্রায়োগিক ক্ষেত্রে যুক্ত করার সুযোগ থাকে না, বরং চেয়ারের ক্ষমতা বেশি থাকলে নব্য বিশেষজ্ঞ হয়ে এমন সব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন, যা দেখে শিক্ষা গবেষকরা চমকে ওঠেন। আমাদের ক্ষমতাবান কর্তাব্যক্তিদের বিশেষ জ্ঞানের কারণে দায়িত্ব বিতরণেও বিস্ময়ের অবকাশ আছে। ইতিহাস যে একটি বিশেষায়িত বিষয়, এ কথা অনেক সময় মাথায় থাকে না। ফলে অনেক সময় আধুনিক যুগ পর্বের ক্ষমতাবান ইতিহাসের পণ্ডিতকে প্রাচীন যুগের ইতিহাস বইয়ের কারিকুলাম তৈরি ও গ্রন্থ প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরাও অতিশয় বিনয়ী বলে সে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এভাবে আতাগাছে বল প্রয়োগে আম ফলানো হয়। স্বনামখ্যাত শিশুসাহিত্যিকের যোগ্যতায় দায়িত্ব পেয়ে যান শিশুশিক্ষার নীতি নির্ধারণের। এতে যে ফল ফলে, তাতে শিক্ষা গবেষণায় দক্ষ শিক্ষাবিদরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

এমন বাস্তব অবস্থার মধ্য দিয়ে এ দেশে তৈরি হয় শিক্ষানীতির আরক। ফলাফল বিস্ফোরণের আনন্দে উদ্বেল থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাক্ষরতার হার কত ভাগ বাড়ল, তা বলে সরকারের উচ্চতম পর্যায় থেকে স্বস্তি প্রকাশ করা হয়। আর এসব ভ্রান্তির বিষাক্ত নির্যাস থেকে জ্ঞানচর্চাবিচ্ছিন্ন প্রজন্ম তৈরি হতে থাকে। এদের হাতে দেশের সার্বিক উন্নতি গতি পেতে পারে না। এখনো যদি দেশের নীতিনির্ধারকরা এসব বাস্তব সংকট উপলব্ধি করতে না পারেন, তবে উন্নয়নশীল দেশের পথযাত্রা কাঙ্ক্ষিত গতি পেতে পারে না।

লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0072591304779053