শিক্ষক-অভিভাবকদের আন্দোলনের মুখে সভাপতির পদ ছাড়তে বাধ্য হলেও মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের এখনও কর্তৃত্ব রয়েছে বিতর্কিত আওলাদ হোসেনেরই। টর্চার সেলে শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন, অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, প্রশ্নফাঁস ও কোটি কোটি টাকা লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে আওলাদ হোসেনকে সরিয়ে দেয়া হয়। একজন অতিরিক্ত সচিবকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হলেও তিনি এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত বোঝা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছে।
অভিভাবকরা দৈনিক শিক্ষাকে জানান, আওলাদের অপকর্মের সহযোগীকে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান পদে রাখা হয়েছে। নয় মাস আগে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিলেও সভাপতি তা গ্রহণ করছেন না। স্কুলটিতে লিফট লাগানো হচ্ছে না। ব্যাংক এশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। টিউশন ফি জমা দেয়ার জন্য অভিভাবকদের ভোগান্তি। পুরো সেপ্টেম্বর মাসে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি জমা দেয়ার জন্য দুটি পৃথক ব্যাংককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অনেক অভিভাবককে।
হাবিবুর রহমান নাামের একজন অভিভাবক জানান, সভাপতি পদে যে অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন তিনি মূলত ঢাকার স্থানীয় হওয়ায় আওলাদের লম্বা হাতের নাগালেই তার পরবর্তী পদোন্নতিসহ অন্যান্য বিষয়। তাই সভাপতি কোনো কাজ করছেন না। পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন সেলিনা শামসী অথচ তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করছেন না।
গত বারো বছর ধরে আওলাদ ও তার প্রেত্মাতাদের কারণে একসময়ে ভালো ফল করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এসএসসি পরীক্ষার ফল ধারাবাহিকভাবে খারাপ হয়েছে। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে এই প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ (‘এ’ প্লাস) পেয়েছিল ১ হাজার ১৩০ জন শিক্ষার্থী। সেটা প্রতিবছর কমতে কমতে গত বছর জিপিএ-৫ পায় ২২৫ জন। ফেল করে অনেকে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শাখা মতিঝিল কলোনিতে অবস্থিত, আরেকটি শাখা ক্যাম্পাস বাসাবো এলাকায়। বর্তমানে ১১ হাজার বেশি শিক্ষার্থী পড়ছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা শামসীর মতামত জানার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। সভাপতিও ফোন ধরছেন না।