মতিঝিল মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্তি, শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে বাধ্য করা, ফিয়ের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ নানা অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। কলেজটির গভর্নিং বডির সাবেক অভিভাবক প্রতিনিধি করা অভিযোগ তদন্তে ইতোমধ্যে তিনজন কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার গভর্নিং বডির একজন সাবেক প্রতিনিধি দৈনিক শিক্ষাকে জানান, মতিঝিল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের দুইজন শিক্ষিকা অবৈধ উপায়ে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। স্কুলটির দুই সহকারী শিক্ষক লুবনা আক্তার ও ফাতেমা আক্তার শিক্ষাজীবনে দুইটি তৃতীয় বিভাগ নিয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এই দুই শিক্ষিকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নিয়োগ, পরীক্ষার নম্বর ফর্দ, প্রতিষ্ঠানের রেজুলেশন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রে গলদ রয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা লুবনা আক্তারের শিক্ষাজীবনে রয়েছে দুইটি তৃতীয় বিভাগ ও স্নাতকে বিশেষ বিবেচনায় পাস করেছেন। অপর শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তারেরও শিক্ষাজীবনে একটি দ্বিতীয় বিভাগ ও দুইটি তৃতীয় বিভাগ রয়েছে। যা বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার পরিপন্থি।
তিনি আরও জানান, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে লুবনা আক্তার দুইবার সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধির পদ বাগিয়েছেন। একইভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষিকার পদ দখল করেছেন তিনি। অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত হয়ে এ দুই শিক্ষিকা সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয় জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠান কলেজ শাখার গভর্নিং বডির একজন সাবেক অভিভাবক প্রতিনিধি। অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে গত ২৩ এপ্রিল তা তদন্ত করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। অভিযোগ তদন্তে তিনজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, শারীরিক শিক্ষার উপ-পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান, সহকারী পরিচালক মো. খালিদ সাইফুল্লাহ এবং সেসিপের সহকারী পরিচালক মো. কাওসার আহমেদকে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন এই তিন কর্মকর্তা।