মনের আলোয় হার মেনেছে চোখের অন্ধকার - Dainikshiksha

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর সাফল্যমনের আলোয় হার মেনেছে চোখের অন্ধকার

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

শারীরিক সীমাবদ্ধতা তো রয়েছেই, তাদের নিত্যসঙ্গী ছিল নানা সংকট। নির্দিষ্ট সময়ে মেলেনি শ্রুতি লেখকও। তবে সব বাধা পেছনে ফেলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জয়ী হয়েছেন সাত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী! যাদের চোখে আলো না থাকলেও মনের আলোতে তারা হার মানিয়েছেন চোখের অন্ধকারকে। তাদের কেউ স্বপ্ন দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার, কেউ-বা স্বপ্ন দেখছেন আইটি বিশেষজ্ঞ, সমাজবিজ্ঞানী কিংবা আইনজীবী হওয়ার। শুক্রবার (১৯ জুলাই) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন শৈবাল আচার্য্য।

চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এবার মানবিক বিভাগে পাঁচজন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ অর্জন করেছেন। এদের একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শাকিল খান। তার এমন সাফল্যে আনন্দিত কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাসান। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আরও ছয়জনের মধ্যে হিমেল কান্তি দে জিপিএ ৪ দশমিক ৮, মোহাম্মদ সুরত আলম জিপিএ ৩ দশমিক ৮৩, ফারজানা আক্তার জিপিএ ৩ দশমিক ৭৫, আরফাতুল ইসলাম জিপিএ ৩ দশমিক ৬৭, তানভীর চৌধুরী জিপিএ ৩ দশমিক ৩৩ এবং ইয়াসমিন আক্তার জিপিএ ২ দশমিক ৫৮ অর্জন করেছেন। এদের মধ্যে তানভীর চৌধুরী বাকলিয়া সরকারি কলেজ থেকে এবং বাকি পাঁচজন 

হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন। 

এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেওয়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মো. শাকিল খান নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে বলেন, প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর পরিশ্রম থাকলে অনেক সীমাবদ্ধতাকেও হার মানানো যায়। মা-বাবা ও শিক্ষকদের এমন ভালো ফল উপহার দিতে পেরে আমি আনন্দিত। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করব।

শাকিলের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নে। তার বাবা আয়ুব খান ব্যবসা করেন। আর মা ফারজানা বেগম গৃহিণী। শাকিল এসএসসিতে জিপিএ ৪ দশমিক ৪৪ পেয়েছিল। 

ছেলের এমন অর্জনে আত্মহারা মা ফারজানা বেগম ও বাবা আয়ুব খান বলেন, ছেলেকে মানুষ করতে গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছি। এইচএসসিতে জিপিএ ৫ অর্জন করে শাকিল আমাদের সব কষ্টের প্রতিদান দিয়েছে। ছেলের আগামী শিক্ষাজীবন এগিয়ে নিয়ে যেতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। 

চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাসান বলেন, আমার কলেজের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী স্বাভাবিক জীবনযাপন করেও জিপিএ ৫ অর্জন করতে পারেনি। সেখানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়েও শাকিল জিপিএ ৫ অর্জন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তার এমন অর্জনে কলেজের সুনাম আরও বেড়েছে। এমন সাফল্যে আমরা গর্বিত।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আরাফাতুল ইসলাম বলেন, ছোটবেলা থেকেই একজন আইটি এক্সপার্ট হওয়ার স্বপ্ন মনের মধ্যে গাথা রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সবার সহযোগিতা কামনা করি। 

মনের আলো দিয়ে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চান ফারজানা আক্তার। সুরত আলম জানান, দিনের বেশিরভাগ সময় পড়াশুনায় ব্যয় করেছেন বলেই সাফল্য এসেছে। 

হিমেল কান্তি দে বলেন, সরকারসহ সমাজের বিত্তবানরা যদি আমাদের দিকে সুদৃষ্টি দেয় এবং আমাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে এগিয়ে আসেন তবে আমরাও জাতীয় অর্থনীতি ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারব।

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0080010890960693