আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী চাইলে অনলাইনে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। এমন প্রস্তাব রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও’র সংশোধনী খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া আরপিও’র খসড়ায় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধানও রাখা হয়েছে। সোমবার (২৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আরপিও সংশোধনী খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
তিনি জানান, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার ও অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আরপিও সংশোধনীটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর হবে।
নির্বাচনের আগে সংসদে তুলে পাস করার জন্য যথেষ্ট সময় না থাকায় সংশোধিত এই গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক হয়। পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, এখন যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও করা হয়েছিল ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে । তা সংশোধন করে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের আগ পর্যন্ত খেলাপী ঋণ পরিশোধের সুযোগ রাখা হয়েছে সংশোধিত আইনে। বিদ্যমান ব্যবস্থার পাশাপাশি অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলেরও সুযোগ রাখা হয়েছে।
আগে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে প্রার্থীদের খেলাপী ঋণ পরিশোধ করতে হত এবং মনোনয়নপত্র জমা দিতে হত হাতে হাতে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ইভিএমের ‘অপব্যবহার’ করলে সর্বনিম্ন তিন বছর এবং সর্ব্বেচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনে।
“ইভিএম নিয়ে শঙ্কা দূর করার জন্য ডিটেইল আউটলাইনে সেফটি মেজারগুলো আইনে বলে দেওয়া হয়েছে।”
বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করলেও গত ৩০ অগাস্ট নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের প্রস্তাব যাচাইয়ের জন্য তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন।
ইসির প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে আইন মন্ত্রণালয় তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠালে সোমবার তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হয়।