রাজশাহী প্রতিনিধি লকডাউন অমান্য করে রাজশাহীর পুঠিয়ার মাইকিং করে হাট বসানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকালে পুঠিয়ার ঝলমলিয়ায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে হাট বসিয়েছে ইজারাদার। যদিও গত ৬ এপ্রিল রাজশাহী জেলা লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়।
জানা গেছে, উপজেলার ঝলমলিয়া হাট সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার বসে। দেশে বর্তমানে করোনার প্রভাব বিস্তার করায় লোকসমাগম না করতে প্রশাসন সব হাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু হাট ইজারাদার রীতিমত হাটের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্কুল ও ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে হাট বসিয়েছেন। হাটে লোকজন আসা শুরু হলে ভোরেই ইজারাদারের লোকজন ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিকট থেকে জোরপূর্বক খাজনার নামে টাকা আদায় করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ-প্রশাসন হাটের কেনা-বেচা বন্ধ করে দেন।
হাটে আসা আবদুর রাজ্জাক একজন সবজি ব্যবসায়ী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আজ হাট বসানো হবে বলে ইজারদার গতকাল রাতে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। ভোরে হাটে আসার পর মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় বেচাকেনা স্কুল মাঠে হবে। সে অনুসারে আমরা কাঁচা সবজি কিনে দোকান সাজিয়ে বসার পর প্রশাসন হাট ভেঙ্গে দেন। এতে সকল ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।
শরিফুল নামের অপর এক ব্যবসায়ী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইজারাদার কৌশলে হাট বসিয়েছে। তারা প্রতিবস্তায় ৪০ থেকে ৬০ টাকা নিচ্ছে। আর বসে বিক্রির জন্য আরো অতিরিক্ত ৫০ টাকা হারে খাজনা আদায় করেছে।
ঝলমলিয়া হাই স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু বাক্কার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দেশে করোনার প্রভাব বিস্তার করায় প্রশাসন হাট-বাজার বন্ধ করে দিয়েছেন। ইউএনও স্যার আমাদের বলেছেন হাটের দিন বাদে স্কুল মাঠে স্বল্প পরিসরে সবজি বাজার বসাবেন। কিন্তু এই অস্থায়ী বাজারে খাজনার বিষয়টি আমার জানা নেই।
তবে হাট ইজারদার ইনসার আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে ঝলমলিয়া হাটে অতিরিক্ত লোকজন কমাতে স্কুল মাঠে কেনা-বেচা করতে। যার কারণে আমরা এখানে হাট বসিয়েছি। পরে সকাল ৮টার দিকে পুলিশ-প্রশাসন এসে কেনা-বেচা বন্ধ করে দিয়ে যায়।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ইজারদার ভুল করে হাট বসিয়েছেন। তাদেরকে হাটবারে কেনা-বেচা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বাকি ৫দিন স্কুলমাঠে সবজি কেনা-বেচা করা যাবে। আর ব্যবসায়ীদের অভিযোগের বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।