অকালপ্রয়াত মহাপরিচালক প্রফেসর মো: মাহাবুবুর রহমান একজন আন্তরিক ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক এবং একজন ভাল কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মহাপরিচালক মাহাবুরের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি।’
শিক্ষামন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সদ্য প্রয়াত মহাপরিচালক প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমানের স্মরণে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
স্মরণসভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদ হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর মো. শামছুল হুদা, সাবেক মহাপরিচালক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: নোমান উর রশীদ, সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন ও অধ্যাপক ড. মো. ওয়াহিদুজ্জামান; শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)এর সাধারণ সম্পাদক সাব্বির নেওয়াজ, ইডেন কলেজ, ঢাকা কলেজ ও তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষরা এবং প্রয়াত মহাপরিচালকের সহকর্মীগণ তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। পরে প্রয়াত মহাপরিচালকের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
গত ৩ নভেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মহাপরিচালক। ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের আইসিইউতে ‘ইসিএমও’ সাপোর্টসহ লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হন মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান। সেদিন রাতেই পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএসএমইউ) ভর্তি করা হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত তাঁকে অক্সিজেন দিয়ে কেবিন ব্লকের ৭ম তলার আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। এরপর গত ২৩ সেপ্টেম্বর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।