বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে ৯ অক্টোবর নিবন্ধনকৃত শিক্ষকদের উপজেলাভিত্তিক মেধা তালিকা অনুযায়ী নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল। কিন্তু যোগদান করার সময় কিংবা যোগদানের পরে শিক্ষকরা জানতে পেরেছিলেন পদটি ছিল 'মহিলা কোটা' বা 'সৃষ্ট পদ'। বিদ্যালয় ই-রিকুইজেশনের সময় 'মহিলা কোটা' বা 'সৃষ্ট পদ' উল্লেখ করেনি, এ জন্য এনটিআরসিএ তখন শিক্ষকদের কোনো দায়িত্ব নেয়নি।
অথচ প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আবেদনকারীদের মেধা অনুযায়ী নিয়োগ হবে, প্রথমে এই ঘোষণার কারণে অনেকেই বেশিরভাগ আবেদন রাজধানী ঢাকা, বিভাগীয় শহর ও জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করেছিল। এদিকে এনটিআরসিএ সুপারিশ করলেও এমপিওভুক্তির জন্য যখন এসব শিক্ষক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) গেলেন, তখন জানতে পারলেন, এনটিআরসিএ সুপারিশ করলেও এসব পদের এমপিওভুক্তি হবে না! অপেক্ষা করতে করতে অনেক নিবন্ধনধারীর বয়স ৩৫ পার হয়ে গেছে। এ বছর ২৬ আগস্ট এনটিআরসিএ আবারও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে ই-রিকুইজেশন চেয়েছে। ধারণা করা যায়, প্রতিষ্ঠানের দেওয়া রিকুইজেশন এবং নিবন্ধনধারীদের আবেদন অনুযায়ী যথাসময়ে এনটিআরসিএ নিবন্ধনধারীদের নিয়োগের জন্য সুপারিশপত্র প্রেরণ করবে।
মাউশি ও এনটিআরসিএর প্রতি অনুরোধ, যোগদানের পরে শিক্ষকরা যখন এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করবেন, তখন যেন তাদের এই কথা শুনতে না হয়- 'আপনার পদটি তো মহিলা কোটা', 'আপনার বয়স তো ৩৫ পার হয়ে গেছে', 'আপনার পদটি তো সৃষ্ট পদ' ইত্যাদি। মাউশি ও এনটিআরসিএ যদি দুই মেরুতে অবস্থান নেয়, তাহলে শিক্ষকদের দায়িত্ব কে নেবে?
লেখক: শিক্ষক, চাঁদপুর
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]