আজ ১২ ডিসেম্বর, আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৩৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে সিরাজগঞ্জ জেলার ধনপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তারা বাবার নাম হাজী শরাফত আলী ও মায়ের নাম মজিরন বিবি।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী মক্তব হতে শিক্ষা গ্রহণ করে কিছুদিন মক্তবেই শিক্ষকতা করেন। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে পীর সৈয়দ নাসিরুদ্দীনের সঙ্গে আসাম যান। এরপর ইসালামিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে দেওবন্দ যান তিনি। দুই বছর সেখানে পড়াশুনার পর আসামে ফিরে আসেন। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস ময়মনসিংহ সফরে আসলে তার ভাষণ শুনে ভাসানী অনুপ্রাণিত হন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসে যোগ দেন এবং খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেয়ায় দশ মাস কারাভোগ করেন। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন স্বরাজ্য পার্টি গঠন করলে ভাসানী সেই দল সংগঠিত করার ব্যাপারে ভূমিকা রাখেন।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান। ১৯২৯-এ আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন। এখান থেকে তার নাম রাখা হয় ‘ভাসানীর মওলানা’। এরপর থেকে তার নামের শেষে ভাসানী শব্দ যুক্ত হয়।
১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এদিকে মজলুম জননেতার ১৩৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এরমধ্যে রয়েছে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা সকাল সোয়া ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মরহুমের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারত। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।