মাতৃভাষায় পিলখানা হত্যা মামলার রায় - দৈনিকশিক্ষা

মাতৃভাষায় পিলখানা হত্যা মামলার রায়

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

(গতকালের পর)

বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানা হত্যাকা-ের ঘটনাকে যথার্থই বিশ্বের একটি নজিরবিহীন নৃশংস ঘটনা উল্লেখ করে বিচারপতি সিদ্দিকীর গবেষণামূলক এই রায়ে তুলনামূলকভাবে বিভিন্ন দেশের উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে ৫৫ জন সেনা অফিসার পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। আফ্রিকার রুয়ান্ডা ও কঙ্গোর গৃহযুদ্ধে ১৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়। দক্ষিণ ফিলিপিন্সের বিদ্রোহে ৬ জন সেনা কর্মকর্তা এবং ১৯৬৭ সালে ইন্দোনেশিয়ায় ৭ দিনের বিদ্রোহে ১০০ সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার নজির খুঁজে পাওয়া যায়। আর পিলখানা বিদ্রোহে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ৫৭ জন নিরস্ত্র সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা ছিল নৃশংস, বর্বরোচিত ও নজিরবিহীন। তুলনামূলক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকা-ের ঘটনাটি নজিরবিহীন ঘটনা নির্ণয়ের যথার্থতা রয়েছে, কারণ পিলখানার বিদ্রোহ ২৫/২৬ ফেব্রুয়ারি দুই দিনের হলেও রায় পর্যালোচনায় দেখা যায় বিদ্রোহের পর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিদ্রোহীরা নিরস্ত্র সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। রায়ে বিডিআর বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট, বাহিনীর জন্মলগ্ন থেকে ২০০৯ সালের বিদ্রোহ পর্যন্ত তাদের বর্ণাঢ্য ইতিহাস ও ঐতিহ্য, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন ইপিআরের ঐতিহাসিক ভূমিকা, সীমান্তরক্ষী হিসেবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন, অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনসহ বাহিনীর নানাবিধ জনকল্যাণমূলক কর্মকা-সহ প্রশংসিত ভূমিকার কথা পর্যবেক্ষণে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। বিচারপতি সিদ্দিকীর রায়ে বিদ্রোহের মোটিভ, ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, নিরস্ত্র সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা, গ্রেনেড বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ, গাড়ি ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, পাশবিক নির্যাতন, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারে দেশের অভ্যন্তরে বিডিআর সেক্টরসহ সব বিওপিতে একযোগে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ার সচিত্র বর্ণনা, বিডিআর সদস্যরা সীমান্ত ছেড়ে বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করায় দেশের সীমান্ত এলাকা অরক্ষিত করায় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীনসহ সার্বিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া, নিহত অফিসার ও পরিবারের সদস্যদের লাশ ম্যানহোল ও স্যুয়ারেজ লাইনে ফেলে দেয়াসহ পিলখানার অভ্যন্তরে একসঙ্গে গাদাগাদি করে মাটিচাপা দেয়ার দৃশ্য ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল কাজী অনিরুদ্ধ কর্তৃক প্রজেক্টরের মাধ্যমে আদালত কক্ষে প্রদর্শিত ভিডিও ফুটেজের সচিত্র প্রতিবেদনটির নিখুঁত বর্ণনা পর্যবেক্ষণে অত্যন্ত সাবলীল ও সহজ ভাষায় বর্ণিত হয়েছে। কেবল পক্ষগণই নয়, পিলখানায় নির্মম হত্যাকা-ে বিদ্রোহীদের লোমহর্ষক বর্বরতার কাহিনী সমগ্র দেশবাসীর হৃদয় স্পর্শ করেছে। মঙ্গলবার (৪) জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়, এরূপ একটি নজিরবিহীন ভয়াবহ ঘটনার তর্কিত রায়ে প্রদত্ত মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদ-সহ বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড ও সাজা বহাল এবং খালাস প্রদানের আইনানুগ যৌক্তিকতা নির্ণয়ে বিচারপতি মোঃ আবু জাফর সিদ্দিকী মানবসভ্যতার শুরু এবং ফৌজদারি আইনের সৃষ্টিলগ্ন থেকে আইন বিজ্ঞান, অপরাধ বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, দ-বিজ্ঞানের গবেষক ও প-িতগণের মতবাদ, ইসলাম ধর্মে শরিয়া আইন, পবিত্র কুরআনের নির্দেশনা, বাইবেল, গীতা, মহাভারতের ভাষ্যসহ বিভিন্ন ধর্মের নির্দেশনা, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উচ্চ আদালতের নিষ্পত্তিকৃত Landmark Judgment-এ দেয়া পর্যবেক্ষণ, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইল্যান্ড ও আমেরিকার সংবিধানে ন্যায়বিচার, অপরাধ ও সাজা প্রদান সংক্রান্ত মৌলিক নির্দেশনা, ম্যাগনাকার্টা, পিটিশন অব রাইটস, বিল অব রাইটস, জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকা-, সাজা প্রদান তত্ত্বের ওপর ব্যাপক গবেষণা চালিয়ে পিলখানা হত্যা মামলার রায়টিকে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন। রায়ের সাক্ষ্য পর্যালোচনাসহ আমাদের দ-বিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং সাক্ষ্য আইনের সংশ্লিষ্ট প্রায়োগিক ধারাসমূহের বাংলায় অনুবাদ এবং আইনের প্রায়োগিক বিষয়ে চমৎকার বিশ্লেষণ ও যৌক্তিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে বিশাল এই রায়টিকে তিনি সম্পূর্ণ ঝঢ়বধশরহম রায় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। অনুরূপ অবস্থায় বিশেষ বেঞ্চের অপর বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার তার পর্যবেক্ষণের শুরুতেই সুস্পষ্ট মতামতের মাধ্যমে বিচারপতি সিদ্দিকীর বাংলায় লেখা রায়কে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করায় মাতৃভাষায় লেখা রায়টি পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের নেতৃস্থানীয় রায় (খবধফরহম ঔঁফমসবহঃ) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই রায়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, পক্ষগণের যুক্তিতর্কে উত্থাপিত সকল প্রশ্ন, বিশেষ করে আপীলকারী পক্ষের বিজ্ঞ কৌঁসুলিগণের উত্থাপিত প্রশ্নসমূহের আইনানুগ যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ ও সমাধানের মাধ্যমে উত্থাপিত তর্ক নিষ্পত্তি করা হয়েছে। গঠিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রত্যেক আপীলকারীর মামলা পৃথক পৃথকভাবে সাক্ষ্য পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণসহ সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পেছনের ঘটনা

যুগান্তকারী এই মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য আইনানুগভাবে যৌক্তিক বিশ্লেষণ সাবলীল ভাষায় করা হয়েছে। বিডিআর বিদ্রোহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৮ দিনের সরকারের পতন হলে যে সকল গোষ্ঠী লাভবান হতো তারা ঘটনার পেছনে থাকতে পারে কিনা, তা পর্যবেক্ষণে যুক্তিসঙ্গত পর্যালোচনার মাধ্যমে ইঙ্গিত করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণে এও বলা হয়েছে, তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তে ‘ঘটনার পেছনের ঘটনা’ উদ্ঘাটন না হলেও ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানমতে তদন্তকার্য আইনসম্মত হয়নি এ কথা আইনানুগভাবে বলা যায় না। কারণ হিসেবে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে হত্যা মামলা, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দ্রিরা গান্ধী হত্যা মামলা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমান রাজীব গান্ধী হত্যা মামলাসহ এই উপমহাদেশের অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে ‘ঘটনার পেছনের ঘটনা’ মামলার দৃশ্যপটে আসেনি। যারা ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। সুতরাং ‘ঘটনার পেছনের ঘটনা’ তদন্তে উদ্ঘাটিত না হওয়ায় তদন্তকার্য আইনানুগভাবে সম্পন্ন হয়নি এ কথা ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানমতে বলা যায় না। তবে সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে পিলখানা হত্যা মামলাসহ জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য মামলায় আইনানুগভাবে তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে ‘ঘটনার পেছনের ঘটনা’ উদ্ঘাটনের মাধ্যমে পেছনের কুশীলবদের চেহারা জাতির কাছে উন্মোচনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে পারে।

পর্যবেক্ষণে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, স্থিতিশীলতা বিনষ্টের চক্রান্ত, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিবেচনায় পিলখানা হত্যা মামলার রায়কে প্রজাতন্ত্রের সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভবিষ্যতের জন্য একটি নির্মোহ দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিচারপতি মোঃ আবু জাফর সিদ্দিকী রায়ে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১-১০ নং নির্দেশনা রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনীর আচরণ, বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর দায়িত্ব, কর্তব্য, বিভাগীয় শিক্ষাসহ সরকারের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের করণীয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে। ১১ নং দফার (ক) ও (খ)-তে তিনি জাতি গঠনের জন্য ২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন। (ক) সমাজের সকল স্তরের নাগরিকগণের নৈতিকতা পুনরুদ্ধারসহ সুনাগরিক গড়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষায় বাধ্যতামূলক নীতিশাস্ত্র (ঊঃযরপং) শিক্ষাদানের প্রতি রায়ে গুরুত্বারোপ করে বলা হয়েছে, নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণে সমাজের প্রতিটি স্তরে অসম প্রতিযোগিতা দৃশ্যমান। আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় নীতিশাস্ত্র (ঊঃযরপং) অধ্যয়ন বাধ্যতামূলক হওয়া অপরিহার্য। (খ) রাষ্ট্র ও সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের বসবাস উপযোগী উন্নত ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজ নিজ ধর্মীয় ও পারিবারিক অনুশাসনে শিশুদের চরিত্র গঠনের মাধ্যমে মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিশুদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি করা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত জরুরী। একটি সমাজ এবং রাষ্ট্রকে গড়ে তুলতে সুনাগরিক সৃষ্টি জরুরী প্রয়োজন। সুনাগরিক তৈরি কোন আইনের অনুশাসন দ্বারা সম্ভব নয়। বিচারপতি সিদ্দিকী তার রায়ে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ভবিষ্যত প্রজন্মকে নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। নৈতিকতা বিবর্জিত কোন জাতি কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে অসম প্রতিযোগিতা চলমান রয়েছে। দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রকে তার নাগরিকদের নৈতিক মূল্যবোধের মাধ্যমে গড়ে তোলার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষায় নীতিশাস্ত্র অধ্যয়ন এবং উহা পালন বাধ্যতামূলক হওয়া জরুরী। পাশাপাশি পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে বলা হয়েছে, প্রতিটি পরিবার তার শিশুর চরিত্র গঠনে প্রথম পাঠশালা হিসেবে রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের বৃহত্তর স্বার্থে ভবিষ্যত প্রজন্মকে মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পরিবারের সচেতনতা ও অনুশাসনের মাধ্যমে, নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষাদানের মাধ্যমে চরিত্র গঠনের জন্য রাষ্ট্র ও সমাজপতিদের প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বসবাস উপযোগী টেকসই উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠায় অগ্রবর্তী হবে এবং সুখী ও সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়ে উঠবে, যা জাতির পিতার সারা জীবনের লালিত স্বপ্ন। এরূপ একটি বিশুদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি এখন সময়ের দাবি। সর্বোপরি এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, পিলখানা হত্যা মামলার রায়টিকে কেবলমাত্র সাধারণ একটি ফৌজদারি মামলার রায় হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় না। ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে ব্যতিক্রমধর্মী ও যুগান্তকারী রায়টি বাংলা ভাষায় লিখে বিচারপতি মোঃ আবু জাফর সিদ্দিকী মাতৃভাষাকে সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে উচ্চতার ভিন্ন মাত্রায় নেয়ার চেষ্টা করেছেন। জাতি আশা করবে মুজিববর্ষ থেকে আমাদের উচ্চ আদালতসহ সকল পর্যায়ে মাতৃভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে বাঙালী জাতি নিজস্ব স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠায় স্বচেষ্ট হবে।

(সমাপ্ত)

লেখক : বিকাশ দত্ত, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জনকণ্ঠ।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039091110229492