এক মাদরাসা অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ওই মাদরাসার এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ২২ জানুয়ারি দুপুরে আটক হওয়ার পর রাতে মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
রাজাপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, দুপুরে উপজেলার কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা অলিউল্লাহকে তার কক্ষে ঢুকে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ কতিপয় লোকজন মারধর করেন, এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির নেতা ও মাদরাসা শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়। প্রাথমিক তদন্তেও মাদরাসা অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনার সত্যতা পাওয়া য়ায়।
ওসি (তদন্ত) কালাম বলেন, রাতে অধ্যক্ষ বাদী হয়ে যুবদল নেতা নাজমুল হুদা চমন, তারা চাচা উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ, মাদরাসার উপাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম ও প্রভাষক শাহিন হাওলাদারের নাম উল্লেখসহ আরও ৪/৫জন অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে মামলাটি করেছেন।
মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে, জানান রাজাপুর থানার এ পুলিশ কর্মকর্তা।
কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গত বছরের (২০১৯) ২১ সেপ্টেম্বর একটি নিয়োগ পরীক্ষায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে প্রথম হওয়া মো. হাফিজুর রহমানকে নিয়ম অনুযায়ি মাদ্রাসায় নিয়োগ দেয়া হয়। ওই নিয়োগ পরীক্ষায় স্থানীয় যুবদল নেতা তালুকদার আবুল কালাম আজাদের বড় ভাইয়ের ছেলে নাজমুল হুদা চমনের স্ত্রী মরিয়ম খানম যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু ওই পদে চমনের স্ত্রীকে নিয়োগ দিতে চাচা-ভাতিজা আমাকে চাপ দিতে থাকে। নিয়োগ ঠেকাতে না পেরে ঝালকাঠির রাজাপুর সহকারী আদালতে একটি মামলা (নং ৯২/১৯) করে। আদালত সে মামলা খারিজ করে দেয়। সকালে (বুধবার ২২ জানুয়ারি) আবুল কালাম ও তার ভাতিজা চমন লোকজন নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে আমাকে মারধর করতে থাকে। আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মোবাশ্বের হোসেন ও এবতেদায়ী প্রধান সাইদুর রহমান আহত হয়।
অধ্যক্ষ বলেন, আমার নিজ প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষকও মারধরকারীদের সহযোগিতা করে।
চাচা-ভাতিজা ছাড়াও মাদরাসার এ দুই শিক্ষক ষড়যন্ত্রে রয়েছেন, বলেন মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা অলিউল্লাহ।