বাগেরহাটের রামপালের ইসলামাবাদ ছিদ্দিকীয়া ফাযিল ডিগ্রী মাদরাসা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ জুলাই) দুপুরে মাদরাসা ক্যম্পাস ও সংলগ্ন রাস্তায় এ বিক্ষোভ মিছিল করেন মাদরাসা কমিটির নেতৃবৃন্দ, এলাকাবাসী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাযিল ও কামিল মাদরাসার অধিভূক্তির দূরত্ব সংক্রান্ত বিধিমালার ২ এর ২ (ক) ধারার লংঘন পূর্বক রামপাল উপজেলার ইসলামাবাদ ছিদ্দিকীয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদরাসার মাত্র ৪ কিলোমিটারের মধ্যে শরাফপুর কারামতিয়া আলিম মাদরাসার ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ফাযিল (স্নাতক) পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতির বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে অস্বীকৃতি জানাবার জন্য অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন খানের পদত্যাগের দাবী জানানো হয়।
জানা গেছে, আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) মাদরাসা পরিদর্শক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ ছিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ইসলামাবাদ ফাযিল মাদরাসার মাত্র ৪ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শরাফপুর আলিম মাদরাসাকে ফাযিল (স্নাতক) পাঠদান কার্যক্রমের অনুমতি প্রদান করা হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার বেলা ১১ টায় ইসলামাবাদ ফাযিল মাদরাসার গভর্নিং বডির সভায় নিয়ম বহিভুর্ত এ অনুমোদনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের কমিটির সদস্যবৃন্দ অনুরোধ জানালে অধ্যক্ষ এ ব্যপারে কোন পদক্ষেপ নিতে অস্বীকৃতি জানান।
তাৎক্ষনিক ভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে কমিটির নেতৃবৃন্দ, অবিভাবক, ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসীর অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এসময় অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছির করেন তারা। মিছিলটি মাদরাসা ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।
মিছিল শেষে মাদরাসা গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কমিটির সহসভাপতি আলহাজ্ব এস.এম নূরুজ্জামন মঞ্জু, শিক্ষানুরাগী সদস্য আলহাজ্ব এস এম নূরুল হক কচি, সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্য মহিদুল ইসলাম, আঃ খালেক প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সম্পুর্ন বেআইনিভাবে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা লংঘন করে শরাফপুর মাদরাসায় ফাযিল (স্নাতক) শ্রেণি খুললে অত্র মাদরাসাটির অপূরনীয় ক্ষতি হবে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুযায়ী ফাযিল মাদরাসার ১০ কিলোমিটারের ব্যাসার্ধের মধ্যে আর একটি ফাযিল মাদরাসা অনুমোদনের সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় মকবুল হোসেনের অধ্যক্ষের পদে বহাল থাকার কোন অধিকার নেই। এলাকাবাসী ও অবিভাবকগন বিধি বহির্ভূত এ অনুমোদন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
তবে অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন খান সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যপারে শরাফপুর কারামতিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ অলিউর রহমানের মতামত জানতে চাইলে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে অনুমোদন দিয়েছে তার ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে। কি ভাবে দিয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানেন। এ ব্যাপারে আমার কোন দায়বদ্ধতা নেই।