বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় এক মাদরাসা ছাত্রের শরীরে কেরসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ীদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেছেন ওই ছাত্রের স্বজনরা। এদিকে তদন্ত শেষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। দগ্ধ ছাত্রের নাম মো. মাহফুজ (১৩)। সে ওই এলাকার কাশেম ঢালীর ছেলে এবং স্থানীয় বকশীর চর দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
ছাত্রের স্বজনরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘মোবাইল কেনা বাবদ ৬০০ টাকা নিয়ে বিবাদের জের ধরে ঘটে এই ঘটনা। ঘটনার আগে মাহফুজ স্থানীয় একটি দোকানে বসে ছিলো। সেখান থেকে তার বন্ধু বাপ্পী মাহফুজকে ডেকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল তাদের আরেক বন্ধু তামিম। কথাবার্তার এক পর্যায়ে মাহফুজের গায়ে কেরসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন পরিবারে খবর জানায়। তারা পৌঁছার আগেই মাহফুজের শরীরের একাংশ পুড়ে যায়। পরে তারা তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।’
শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের প্রধান ডা: এম এ আজাদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘ছাত্রের শরীরের ২৩ ভাগ পুড়ে গেছে। একই সাথে পুড়েছে তার শ্বাসনালীর অংশ বিশেষ। এ অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এরপরপরই তাকে ঢাকায় নিয়ে যায় স্বজনরা।’
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: শাহাবুদ্দিন খান।