মাদরাসা শিক্ষকদের নতুন এমপিওভুক্তির কার্যক্রম স্থগিত - দৈনিকশিক্ষা

মাদরাসা শিক্ষকদের নতুন এমপিওভুক্তির কার্যক্রম স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ইএমাইএস সেলে মাদরাসা শিক্ষকদের অনলাইন ও অফলাইনে নতুন এমপিওভুক্তি, বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও তথ্য সংশোধনী কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এসব আবেদন না পাঠাতে আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের বলেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ১১ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তর থেকে সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয় আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে। তবে, খুব শিগগিরই মাদরাসা শিক্ষকদের পৃথক এমপিও সফটওয়্যার মেমিসে নতুন এমপিওভুক্তি ও সংশোধনের কার্যক্রম শুরু হবে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র।

সূত্র জানায়, স্কুল কলেজ শিক্ষকদের এমপিও দিতে তৈরি করা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সফটওয়্যার ব্যবহার করেই দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিও দেয়া হতো। কিন্তু ইএমাইএস সফটওয়্যার নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। মাদরাসা শিক্ষকদের পৃথক এমপিও সফটওয়্যার মেমিস তৈরি করা হয়েছে, হয়েছে জনবল নিয়োগ। মেমিসএ তথ্য অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে ইএমআইএস সেল থেকে এমপিওভুক্ত মাদরাসা শিক্ষকদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। ইএমআইএস থেকে তথ্য মেমিসে সুষ্ঠুভাবে নিয়ে আসতে নতুন এমপিও, বকেয়া ভাতা ও সংশোধনীর আবেদন না পাঠাতে বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের বলেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, মাদরাসা এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম সাপোর্ট প্রকল্পের অধীনে মাদরাসা এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম’ বা ‘মেমিস’ নামে সফটওয়্যারটি ডেভেলপ করা হয়েছে। মেমিসে লাইভ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেল থেকে মাদরাসা শিক্ষকদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। একই সাথে তথ্য পাঠানোর পর মাদরাসা শিক্ষকদের নতুন এমপিওভুক্তি, বকেয়া বেতন ও সব সংশোধনীর কার্যক্রম স্থগিত করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলা হয়। তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের বলেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।  

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, গত ২ সেপ্টেম্বর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপপরিচালকদের নিয়ে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপপরিচালকদের মৌখিকভাবে ‘মেমিস’ সফটওয়্যারের বিষয়ে জানানো হয়েছে। ডিডি ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের ‘মেমিস’ সফটওয়্যারে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করবে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। রেজিস্ট্রেশন করে আগামী অক্টোবর মাস থেকে নতুন শিক্ষকদের এমপিও আবেদন সরাসরি মেমিসে পাঠাবেন কর্মকর্তারা। তাই, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ইএমআইএস সেলে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিও আবেদন পাঠাতে নিষেধ করা হয়েছে। 

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সারাদেশের সাড়ে সাত হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত মাদরাসার দেড় লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও সংক্রান্ত সব তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএম‌আইএস সফটওয়্যারে সংরক্ষিত রয়েছে। তাই, শিক্ষকদের বেতন, বোনাস, ইনক্রিমেন্টসহ সব কিছু হিসেব করতে শিক্ষা অধিদপ্তরের উপর নির্ভরশীল মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতেই আলাদা সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার। সফটওয়্যার প্রস্তুত। জনবল নিয়োগ সম্পন্ন। তাই, চলতি সেপ্টেম্বর মাস থেকে এ সফটওয়্যারে কাজ শুরু হবে। 

এ কর্মকর্তা আরও জানান, গত আগস্ট মাসের শুরুতে ইএমআইএস সেলের কাছে তথ্য চায় মাদারাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। একমাস পর চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে এসব তথ্য আসা শুরু হয়েছে। এসব তথ্য এখন মেমিসে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ চলছে।  

মাদরাসা শিক্ষকদের নতুন আবেদন সেপ্টেম্বর মাসে না পাঠানোর বিষয়ে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তথ্য অন্তর্ভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ইএমআইএস থেকে তথ্য মেমিসে আসছে। দুইটি সফরওয়্যারের তথ্য আলাদা ফরমেটে থাকে। ইএমআইএস থেকে আসা তথ্য প্রক্রিয়া করে মেমিসে অন্তর্ভুক্ত করার উপযোগী করে তারপর নতুন সফটওয়্যারে ইনপুট করতে হবে। এখন ইএমআইএসে নতুন তথ্য ঢুকতে থাকলে তথ্য আনার প্রক্রিয়া অনেক জটিল হয়ে পড়বে। তাই, চলতি মাসে নতুন মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিও আবেদনগুলো ইএমআইএস সেলে না পাঠাতে ডিডি ও ডিইওদের মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডিডি-ডিইওরা মেমিস সফটওয়্যারে নিবন্ধিত হয়ে আগামী অক্টোবর মাস থেকে সরাসরি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে এমপিও আবেদন পাঠাবেন।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.01561713218689