মাদরাসা শিক্ষকরা প্রতিমাসেই এমপিভুক্ত হতে পারবেন - দৈনিকশিক্ষা

মাদরাসা শিক্ষকরা প্রতিমাসেই এমপিভুক্ত হতে পারবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর আবেদন অনুমোদনে নতুন এমপিও কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আর প্রতিমাসে অন্তত: একটি সভা করে বেতন-ভাতা প্রাপ্তির আবেদনগুলো পর্যালোচনার মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের নতুন মেমিস সফটওয়ারে এমপিওভুক্ত করতে কমিটিকে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। তাই এখন থেকে প্রতিমাসেই এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীরা। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যদিও আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের অধীনে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও প্রক্রিয়াকরণ স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের সাথেই করা হতো।  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও কমিটি প্রতি বিজোড় মাসে একবার সভা করে ইএমআইএস সেলের মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়াকরণ করে। ইএমআইএসের অধীনে থাকায় মাদরাসার ইনডেক্সবিহীন শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি বিজোড় মাসে এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ পেতেন। কিন্তু নতুন মেমিস সফটওয়্যারে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করতে প্রতিমাসে সভা করতে বলা হয়েছে মাদরাসার এমপিও কমিটিকে।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, ২৭ সদস্য বিশিষ্ট মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিও কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গত ২২ অক্টোবর এ সংক্রান্ত চিঠি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পদাধিকার বলে কমিটির সভাপতি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, এনটিআরসিএ, ব্যানবেইসের প্রতিনিধিসহ আঞ্চলিক উপপরিচালকরাসহ মাদরাসার এমপিও কমিটিতে রয়েছেন। 

সূত্র জানায়, মাদরাসার নতুন সফটওয়্যার মেমিসে শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা বা এমপিও প্রদানের অনুমোদন দিতে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কমিটি মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম,পদবি  ও সনদ যাচাই করে সংশোধন ও বিধি মোতাবেক বকেয়া বিল পরিশোধের অনুমোদন দিবে। 

একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, মদরাসার কোনো শিক্ষক কর্মচারী অসম্পূর্ণ আবেদন করলে, আবেদনকারীকে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে জানাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কমিটিকে। এছাড়া মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেয়ার তথ্য প্রতিমাসের ৭ তারিখের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগকে পাঠাতে বলা হয়েছে এমপিও কমিটিকে। 

এদিকে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিও আবেদন আগামী নভেম্বর মাস থেকে নতুন সফটওয়্যার মেমিসে পাঠাতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বলেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের নতুন এমপিও সফটওয়্যার মেমিসে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বররে মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিও আবেদন মেমিসে পাঠাতে আঞ্চলিক উপপরিচালকদের বলেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। 

জানা গেছে, স্কুল কলেজ শিক্ষকদের এমপিও দিতে তৈরি করা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সফটওয়্যার ব্যবহার করেই দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিও দেয়া হতো। কিন্তু ইএমআইএস সফটওয়্যার নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। মাদরাসা শিক্ষকদের পৃথক এমপিও সফটওয়্যার মেমিস তৈরি করা হয়েছে। নভেম্বর মাসে মেমিসে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হবে। 

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035438537597656