কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়নের একটি মহিলা কওমী মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে চার মাস আগে ধষর্ণ করে ওই মাদরাসার এক শিক্ষক। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার গর্ভপাত ঘটানো হয়। এ অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চার মাস আগে রোয়াইলবাড়ী বাজারে প্রতিষ্ঠিত আশরাফুল উলুম জান্নাতুল মাওয়া মহিলা কওমী মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ওই মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল হালিম নেওয়াজ সাগর।
মামলার এজাহারের উদ্ধৃদি দিয়ে কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান জানান, ওই ছাত্রীকে মাদরাসার টয়লেটে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে শিক্ষক সাগর। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই ছাত্রী ও তার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সে। এরপর ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সাগর গত ১৫ জানুয়ারি ওই ছাত্রীকে গর্ভপাত ঘটনার উদ্দেশ্যে একটি কলা খেতে দেয়। কলাটি খাওয়ার পর তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ ৩১২ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক সাগর ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।