বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় অধ্যক্ষের ল্যাপটপ চুরি করতে রাজি না হওয়ায় এক মাদরাসাছাত্রকে মারধর করে মৃত ভেবে অর্ধেক শরীর মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে গুরুতর অবস্থায় গুঠিয়া দোসতীনা সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র মাহফুজকে (১৪) উদ্ধার করে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাহফুজ মাদরাসা সংলগ্ন এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে।
মাহফুজের চাচা হাফেজ হাবিবুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে ভুলু মাদরাসার অধ্যক্ষের ব্যবহৃত ল্যাপটপ চুরির জন্য মাহফুজকে চাপ দেয়। মাহফুজ রাজি না হওয়ায় তাকে অর্থের প্রলোভন দেখায় মজিবুর। কিন্তু মাহফুজ রাজি না হয়ে উল্টো বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এরপর ভুলু তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে সহায়তায় মাহফুজকে অপহরণ করে মাদরাসা সংলগ্ন বাগানে নিয়ে বেদম মারধর করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে সে অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে মাহাফুজের অর্ধেক শরীর মাটিতে পুতে সটকে পড়ে তারা।
রাতে মাহফুজের খোঁজ পড়লে বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে ওই বাগান থেকে মাহফুজকে উদ্ধার করে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার কথা বলেন মাহফুজের চাচা হাবিবুর রহমান।
উজিরপুর থানার ওসি শিশির কুমার পাল বলেন, খবর পেয়ে বুধবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মাহফুজের পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে মামলা রুজুসহ আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।