মা-বাবার সঙ্গে অভিমান করে রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন মাদরাসাছাত্রী। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পুখুরিয়া শিয়ালকোল নামক স্থানে শুক্রবার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রী ভূঞাপুর ফাজিল মাদরাসার ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত। তার বাড়ি গোবিন্দাসী ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামে।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই হিটলার (৩০) ও জাহিদ (৩২) নামের দুই ধর্ষককে আটক করেছে। হিটলার উপজেলার চরপাড়া ভারই গ্রামের কিসমত আলীর ছেলে ও জাহিদ একই গ্রামের আসাদ ওরফে আছার ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উভয়ই পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা শিকার করেছেন।
জানা যায়, ওই ছাত্রী শুক্রবার রাতে মা-বাবার সঙ্গে অভিমান করে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে চলে আসেন। বাসস্ট্যান্ড থেকে এলেঙ্গা যাওয়ার জন্য সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠতে গেলে দুই পরিবহন শ্রমিক হিটলার ও জাহিদ তার কাছে যান। গন্তব্যের বিষয়টি জিজ্ঞাসা করে তাকে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। বিষয়টি সন্দেহ হলে ওই ছাত্রী পায়ে হেঁটেই শিয়ালকোলের দিকে রওনা দেন।
এ সময় পরিবহনের ওই দুই চালক জাহিদ ও হিটলার তার পিছু নেন। পুখুরিয়া শিয়ালকোল কবিরের ইট ভাটার কাছে তারা ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করেন।
এসময় মেয়েটির ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে হিটলারকে আটক করে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার ও হিটলারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে হিটলারের দেয়া তথ্য মতে অপর ধর্ষক জাহিদকে নিজ এলাকা থেকে আটক করে।
এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে হিটলার ও জাহিদকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি মো. আব্দুছ ছালাম মিয়া বলেন, ঘটনার রাতেই দুই ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের কথা শিকার করেছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটিকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার দুপুরে দুই ধর্ষককে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।