নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় মামলাটি করেন। তবে অধ্যক্ষ জানান, ছাত্রীটি তার বিবাহিত স্ত্রী এবং স্ত্রীকে বাড়িতে নিতে আদালতে তিনি মামলাও করেছেন।
জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান। মাদরাসা নিকটবর্তী একটি বাড়িতে তিনি ভাড়ায় বসবাস করছিলেন। গত ১৮ জুলাই তিনি উপবৃত্তি ফরমে স্বাক্ষর করার কথা বলে ঐ ছাত্রীকে ডেকে এনে নিকাহনামা কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে অধ্যক্ষ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। পরে ছাত্রীর চিত্কারে প্রতিবেশীরা এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
পরে এ ঘটনাটি গোপন রেখে গত ১০ আগস্ট মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবারের লোকজন। এ খবর শুনে ক্ষিপ্ত হয় অধ্যক্ষ সাইদুর। এমনকি বিয়ে ভেঙে দিতে তিনি হুমকি প্রদর্শন করেন। এ অবস্থায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর মেয়েটির মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অধ্যক্ষ সাইদুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর মাদরাসার গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধ্যক্ষ সাইদুরকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। এদিকে ঐ মেয়েকে নিজের স্ত্রী দাবি করে ময়মনসিংহ আদালতে মামলা করেছেন অধ্যক্ষ সাইদুর ।
এ বিষয়ে ঐ ছাত্রী বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুরের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি উপবৃত্তি ফরমে স্বাক্ষর করার কথা বলে আমাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় মামলার পর থেকে তিনি হুমকি দিচ্ছেন এবং আমার বিরুদ্ধে এলাকায় মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছেন।
অভিযুক্ত মাদরাসা অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঐ মেয়েকে আমি রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে বিয়ে করেছি। বাড়িতে না আসায় আমি আদালতে মামলা করেছি।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কেন্দুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, মামলাটির তদন্ত কাজ চলছে। এদিকে পুলিশ সাইদুর রহমানের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।