নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদরাসাছাত্রী হালিমা খাতুনকে (১২) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হালিমা খাতুন উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা পাড়ার হাসান আলীর মেয়ে এবং গাড়ফা দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। রোববার (৩ নভেম্বর) রাত ২টার দিকে পুলিশ গাড়ফা ত্রিমহনি এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ছাত্রীর বড় বোন রহিমা খাতুন জানান, তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে হালিমা সপ্তম। তার বোনকে দীর্ঘদিন থেকে উত্যক্ত করে আসছিল লাদেন দেওয়ান। রোববার রাত ৭টার দিকে লাদেন দেওয়ান বাড়ি থেকে জরুরী কাজের কথা বলে ডেকে নেয় হালিমাকে। এসময় তার সাথে বুলু মিয়ার ছেলে ছোটন মিয়াও ছিলো। পরে রাত আটটা অবধি বাড়িতে না ফেরায়, খোঁজা-খুজি শুরু হয়। রাত বারোটার দিকে এক পথচারী খবর দেয় হালিমাকে মেরে ত্রিমোহনী এলাকায় বট গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্বার করে।
বাবা হাসেন আলী বলেন, লাদেন দেওয়ান আমার মেয়েকে উত্যক্ত করার কারনে আমি গ্রামের প্রধানদের কাছে বলেছি। কিন্তু তারা আমার মেয়ের জন্য কিছুই করতে পারল না। মা মমেনা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মেয়েকে পড়াশুনা করিয়ে বড় করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু লাদেন আমার মেয়েকে হত্যা করল। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আন্তাদুল ইসলাম জানান, লাদেন দেওয়ান প্রায় দের বছর আগে বিয়ে করেছে। সে বিভিন্ন সময় হালিমাকে উত্যক্ত করত। আমি তাকে অনেকবার নিষেধ করেছি।
লাদেন দেওয়ানের বাড়ীতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি। তার খালাতো বোন মৌসুমী খাতুন জানান, তিন দিন আগ থেকে লাদেনের বউ বাপের বাড়িতে। আর লাদেন গতরাত থেকে বাড়িতে নেই।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস জানান, রাতেই খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। সকালে মেয়ের বাবা থানায় এসে দুইজনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সোমবার সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা। যদি হত্যা হয়ে থাকে তাহলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।