উপজেলার বালালী বাঘমারা খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক দাখিল মাদরাসার সামনে সোমবার ওই মাদরাসার অফিস সহকারী ফয়সাল বখতিয়ার জুয়েলকে তুচ্ছ ঘটনায় বেধড়ক পেটালেন সাইতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও তার সঙ্গীরা। এ সময় জুয়েলের ডাক-চিৎকারে তার বোন আসমা ও ভাই নাজমুল এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। জুয়েলকে গুরুতর আহত অবস্থায় মদন হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নেত্রকোনার আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মাদরাসার অফিস সহকারী জুয়েল ধুবাওয়ালা গ্রামের বাবুল মাস্টারের কাছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পায়। সাইতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম পাওনা টাকার বিষয় নিয়ে নানারকম কথা প্রচার করেন। রোববার সন্ধ্যায় বালালী বাজারে চায়ের দোকানে পাওনা টাকা নিয়ে কোনো কথা না বলতে জুয়েল-নজরুলকে নিষেধ করেন তিনি। এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে জুয়েল কর্তব্য কাজে মাদরাসার সামনে আসতেই নজরুল তার দলবল নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।
অভিযুক্ত শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, এ সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তবে আমার ভাই-ভাতিজারা মারধর করেছে।