যশোরের চৌগাছায় একটি মাদরাসা ও ঈদগাহের জমি দখল করে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। এ বিষয়ে বিষয়টি নিয়ে মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও শিক্ষকরা অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বললেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। এদিকে, মাদরাসার জমিতে ঘর নির্মাণের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত নেতা।
উপজেলার আরাজি সুলতানপুর গ্রামের ঈদগাহ ও নুরানী মাদরাসার এই জমি দখল করে। আর অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক।
মাদরাসাটির সভাপতি গোলাম রসুল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘মাদরাসা ও ঈদগাহের জমি দখল করে শহিদুল ইসলাম পাকাঘর নির্মাণ করছেন। আমরা নিষেধ করলেও তিনি শোনেন না। জোর করে দখল করে নিয়েছেন। এর আগে মাদরাসার কয়েকটি দোকান শহিদুল ইসলামের ভাইয়েরা দখল করে নিয়েছেন।’
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘ঘর আমি করছি। জমিটি মাদরাসা ও ঈদগাহের। তবে, মাদরাসাটি এখন আর চলে না।’
হাকিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। মাদরাসাটির সভাপতি ও শিক্ষকরা শহিদুল ইসলামের কাছে গেলে তোদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছেন। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপরিশ করবো।