গাজীপুরে এক মাদরাসা থেকে পরিচালকের স্ত্রী ও আট বছর বয়সী এক ছাত্রের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নগরীর ১৭নম্বর ওয়ার্ডের চান্দনা এলাকার হুফ্ফাজুল কোরআন মাদরাসায় মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে বাসন থানার ওসি মো. মুক্তার হোসেন জানান।
তিনি বলেন, মাদরাসার পরিচালক ইব্রাহিম খলিলের দিকেই সন্দেহের আঙ্গুল তুলেছে ছাত্ররা। তাকে মাদরাসায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিহতরা হলেন ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (২১) এবং মাদরাসার নুরানি বিভাগের ছাত্র মো. মামুন (৮)। মাহমুদার এক শিশু সন্তানও আহত হয়েছে।
প্রায় দুই বছর ধরে মাদরাসাটির পরিচালনার পাশাপাশি ছাত্রদের কোরআন পড়ান ইব্রাহিম। ওই মাদরাসারই একটি কক্ষে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি থাকেন বলে ওসি মুক্তার জানান।
তিনি বলেন, সকালে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ইব্রাহিমের ঘরের ভেতর থেকে মাহমুদার ও দরজার সামনে থেকে মামুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। মাহমুদার গলায়,গালে ও কানে এবং মামুনের ঘাড়ে,মাথায় ও পিঠে ধারোলো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘরের ভেতর থেকে রক্তমাখা একটি দা ও ধার দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের খণ্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
এদিকে মাদরাসার ছাত্র সাব্বিরের বরাতে বাসন থানার এসআই আলামিন বলেন, সোমবার রাতে ছাত্ররা ইব্রাহিমকে উদ্ধার হওয়া দা টি ধার দিতে দেখেছে।
ভোরে ফজরের নামাজে যাওয়ার আগে সাব্বিরকে দিয়ে নিহত মামুনকে মাদরাসার অন্য কক্ষ থেকে ইব্রাহিম ডেকে পাঠায় বলে ও জানান এসআই।
ইব্রাহিম বলেন, মঙ্গলবার ভোরে স্ত্রী এবং তার দুই সন্তান হুযায়ফা (৫) ও আবু হুরায়রাকে (৩) ঘরে রেখে তিনি পাশের মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যান। পরে ঘরে ফিরে বিছানার ওপর মাহমুদা এবং দরজার কাছে মামুনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।