মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সব পদে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদায়নের দাবি জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। একইসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ন্যায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
২ জুন দৈনিকশিক্ষার এক প্রশ্নের জবাবে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, মাদ্রাসা অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই আমি এর মহাপরিচালকসহ সব পদে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদায়নের পক্ষে কথা বলে এসেছি। যদিও ওই সময়ে (২০১৪ খ্রিস্টাব্দে) আমি সমিতির কোনও পদে ছিলাম না। কিন্তু ওই সময়ে দৈনিকশিক্ষাকে দেয়া সাক্ষাতকারে আমি একই দাবির কথা জানিয়েছিলাম।
সভাপতি বলেন, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত লিখিত দাবীনামায় মাদ্রাসা অধিদপ্তরের বিষয়টিও ছিলো।
সভাপতি বলেন, আজ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন নবগঠিত একটি অধিদপ্তরের কী অবস্থা ! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রাসার উন্নতিকল্পে আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন যদি ব্যক্তির অদক্ষতায় এর সুফল ভোগ না করা যায় তার দায় কে নেবে?
জানা যায়, ২০১০ খ্রিস্টাব্দে সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য আলাদা অধিদপ্তর করা ঘোষণা দেয়। আর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. বিল্লাল হোসেনকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রথম মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগের আদেশ জারি করে। অদ্যাবধি বিল্লাল হোসেনই মহাপরিচালক পদে রয়েছেন।
২০১৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে এই অধিদপ্তরের জন্য মহাপরিচালকসহ ৫০টি পদের অনুমোদন দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইবতেদায়ি থেকে কামিল পর্যন্ত শিক্ষার জন্য মাদ্রাসার সংখ্যা ১৭ হাজার ৯০৭টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬৫ লাখ। এগুলোর মধ্যে সাত হাজার সাতশর মতো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা (এমপিও) বাবদ কোষাগার থেকে অনুদান দেয়া হয়।
নিয়োগসহ নানাবিধ কাজ করে মাদ্রাসা অধিদপ্তর।