লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অপহৃত এক মাদ্রোসা ছাত্রীকে পতিতা বানানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অপহরণ মামলা ভিন্নখাতে নিতে দশম শ্রেণির এ ছাত্রীকে পতিতা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন আসামীরা।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি গ্রামের সাজিদার রহমান পাখির ছেলে আবু বক্কর (২২) পাশের গ্রাম নামুড়ি উত্তর পাড়ার ওই ছাত্রীকে গত ৪ জানুয়ারি রাতে বাড়ির পাশ থেকে মোটর সাইকেল যোগে নিয়ে যায়। এরপর বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজে না পেয়ে থানা পুলিশকে অবগত করলে মেয়েটির সন্ধানে মাঠে নামে পুলিশ।
পুলিশি ঝামেলা এড়াতে গত ২৬ মার্চ রাতে মেয়েটিকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরে আবু বক্কর। পরদিন রাতে বাড়ির সবাই মিলে মেয়েটিকে মারপিট করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েটির বাড়ির পাশে ফেলে পালিয়ে যায় আবু বক্কর ও তার লোকজন। ওই দিন রাতে পথচারীরা আহত মেয়েটিকে মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মেয়েটি অপহরণের বিষয়টি উল্লেখ করে আদিতমারী থানায় আবু বক্করসহ ৫জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলা থেকে রেহাই পেতে অপহৃত মেয়টিকে পতিতা উল্লেখ করে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন অপহরণ মামলার প্রধান আসামী আবু বক্করের মা রশিদা বেগম।
নামুড়ি ডিএস দাখিল মাদ্রাসা সভাপতি ও মেয়েটির প্রতিবেশি এনামুল হক ভরসা জানান, অপহরণ মামলাটিকে ভিন্নখাতে নিতে আসামীরা মেধানবী ছাত্রীকে পতিতা বানোর চেষ্টা করছে। একজন কিশোরী কখনই পতিতা হতে পারে না। তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেশ্বর রায় জানান, অপহৃতাকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে নিয়মিত মামলা নেয়া হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করতে জোর চেষ্টা চলছে।