জামাত নেতা কামাল উদ্দিন জাফরির সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: বিল্লাল হোসেনের গোপন বৈঠকের ঘটনার তদন্ত শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি। আজ রোববার (৩জুন) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব রওনক মাহমুদ ও যুগ্ম-সচিব মো: এনামুল হক। দুজনই প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। অভিযুক্ত মহাপরিচালক বিল্লালও ও প্রশাসন ক্যাডারের যু্গ্ম-সচিব। মহাপরিচালকের কক্ষে প্রায় ঘন্টাব্যাপী বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য সংগ্রহ করেন।
জানতে চাইলে রওনক মাহমুদ বলেন, “মাত্রই তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছি। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।”
গতকাল শনিবার বৈঠকের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আজই কমিটি গঠিত হয় এবং তদন্ত শুরু করেন।
গত ২৮ মে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার রেডক্রিসেন্ট বোরাক টাওয়ারে অবস্থিত মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার নিজ দপ্তরে জামাত নেতা ও যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিয়াই এবং বিভিন্ন মামলার আসামী কামাল উদ্দিন জাফরীর সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। এ বিষয়টি সর্বপ্রথম প্রকাশ পায় শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিকশিক্ষায়। এরপর স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, জমিয়াতুল মোদারেছিন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়ন এবং শিক্ষক-কর্মচারী জোট মহাপরিচালকের অপসারণ দাবি করেন।
জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর বেয়াই জামায়াত নেতা কামাল উদ্দিন জাফরীর সঙ্গে গোপন বৈঠকসহ মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের জামায়াত কানেশনের ঘটনা তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থাও। শিক্ষা মন্ত্রনালয় ইতোমধ্যেই মহাপরিচালকের জামায়াতী কানেকশনসহ অন্যান্য কর্মকান্ড খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেয়ার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগীতা চেয়েছে।