কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের মোবাইল নাম্বার ক্লোন করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হারেঞ্জা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাহমিনা রৌশন সিদ্দিকা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
প্রধান শিক্ষিকা তাহমিনা রৌশন সিদ্দিকা জানান, রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বার থেকে ফোন আসে। ফোনে পরিচয় জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি ধমক দিয়ে বলেন, আপনি প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়েও ইউএনওকে চেনেন না? এরপর হোসেনপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সেভ করা নম্বার থেকে ফোন আসে। প্রধান শিক্ষিকাকে বলা হয়, আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ল্যাপটপ বরাদ্দ হয়েছে। এটা নিতে অন্য একটি মোবাইল নম্বরে আট হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠাতে বলা হয়। বিকাশে টাকা পেয়ে প্রতারক আবার ফোন করে আরো পাঁচজন শিক্ষক ল্যাপটপ নিতে পারবেন জানিয়ে তাদেরকেও আট হাজার করে টাকা পাঠাতে বলা হয়। এবিষয়ে অন্য শিক্কদের সন্দেহ হলে তারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদকে অবগত করেন। তখনই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান বিষয়টি ভুয়া এবং প্রতারণা। তিনি তাৎক্ষণিক সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বিষয়টি জানিয়ে সর্তক করেন।
এ বিষয়ে হোসেনপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি জানতে পেরে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করি। তাদের কাছেও একইভাবে টাকা চাওয়া হয়েছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন এব্যপারে সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেন।
আর হোসেনপুর থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার অপরাধীকে খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।