শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নভেম্বর মাসের শেষের দিকে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়সমূহে শুরু হয় বার্ষিক পরীক্ষা। তারপর ফলাফল ঘোষিত হলে দেখা যায়, একই বিষয়ে একেক বিদ্যালয়ে একেক মানের ন্যূনতম পাস নম্বর ধরা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন মো. শহীদুর রহমান।
বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি ছাড়া অন্য সব বিষয়ে রচনামূলক সৃজনশীল অংশে ৭০ নম্বর ও বহুনির্বাচনি অংশে ৩০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, সেগুলোতে রচনামূলক সৃজনশীল ৫০ নম্বর, বহুনির্বাচনি ২৫ নম্বর ও ব্যবহারিক ২৫ নম্বর। এর মধ্যে কেবল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা ৫০ নম্বরের ওপর হয়। কিন্তু বিষয়ভিত্তিক ন্যূনতম পাসের জন্য একজন পরীক্ষার্থীকে কত নম্বর পেতে হবে এবং সৃজনশীল রচনামূলক, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে আলাদা আলাদাভাবে পাস করতে হবে কি না এবং হলে কোন অংশে কত নম্বর পেতে হবে, এসবের আদৌ কোনো দিক-নির্দেশনা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের দেন না কিংবা কোনো কোনো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানেন না। অথচ একজন শিক্ষার্থীর জন্য এটি জানা অতীব জরুরি।
তাই একজন শিক্ষার্থীকে কোন বিষয়ে ন্যূনতম কত নম্বর পেয়ে পাস করতে হবে এবং সৃজনশীল রচনামূলক, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে আলাদা আলাদাভাবে পাস করতে হবে কি না, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি।
জিরো পয়েন্ট, মাস্টার মোড়,
নিউ রংপুর রোড, কাকিনা, লালমনিরহাট