বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ ও সরাসরি দিক নির্দেশনা দাবি করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। রোববার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বকেয়া টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড দ্রুত বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী বেলাল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় যথা সময়ে টাইম স্কেলের ফাইল ছেড়ে দিলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় অদৃশ্য কারণে এটি ঝুলিয়ে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী নিদের্শনা দিলে টাইম স্কেল ৭ দিনে বাস্তবায়ন সম্ভব।
তিনি বলেন, বিগত ৫ থেকে ৬ বছর যাবত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ হাজার ৮৩৯ জন সহকারী শিক্ষকরা টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ২০০১ ও ২০০২ খ্রিস্টাব্দে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ২০১৩ ও ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে ১২ বছর পূর্তিতে ২য় টাইমস্কেলের/সিলেকশন গ্রেডে ৭ম গ্রেড প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জন করেন।
মোহাম্মদ আলী বেলাল আরও বলেন, ২০০৫ ও ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ২০১৩-২০১৪ খ্রিস্টাব্দে আট বছর পূর্তিতে ১ম টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেডে ৮ম গ্রেড প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জন করেন। ২০০৯, ২০১০, ২০১১ খ্রিস্টাব্দে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ২০১৩-১৪-১৫ খ্রিস্টাব্দে চার বছর পূর্তিতে ১ম সিলেকশন গ্রেড ৯ম গ্রেড প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জন করেন। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ২ হাজার ৬৩৯ শিক্ষক টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্তির সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিলেকশন গ্রেড দেবে বলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মিটিং করেন। কিন্তু ন্যায্য পাওনা টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড প্রদানের সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পেন্ডিং হয়ে আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ আলী বেলাল বলেন, অনুগ্রহ করে আমাদের বকেয়া টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড যত দ্রুত সম্ভব প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের পরিবার-পরিজনকে অর্থকষ্টে মানবেতর জীবন থেকে রক্ষা করুন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বকেয়া টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড দ্রুত বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম, সদস্য এস.এম মানজু,মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মো. আলমাস হোসেন চৌধুরী,মোকলেছুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।