মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সদ্য সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের খোলা চিঠি - দৈনিকশিক্ষা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সদ্য সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের খোলা চিঠি

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন |

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আমাদের সালাম, শুভেচ্ছা ও ভালবাসা গ্রহণ করুন। চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে পেয়ে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মতো শিক্ষক সমাজ হয়েছে গর্বিত। বাংলার মানুষের ভাগ্যাকাশে একমাত্র নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আপনি। জাতির জনকের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন আর বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কর্মে নিজেকে করেছেন নিবেদিত। আর আমরা পেয়েছি মানবতার মা, মমতাময়ী মা। আপনার শাসনকালে বাংলাদেশের উন্নয়নে যে মাত্রা যুক্ত হয়েছে তা শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীকে অবাক করেছে। আপনার সাহসী পদক্ষেপগুলো পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে, আপনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বিশ্ব নেতা হিসেবে। আর আমরা হয়েছি গর্বিত। তাই এসেছে নিরঙ্কুশ বিজয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, 

আপনার সাহসী কাজগুলোর মধ্যে একটি হল শিক্ষা খাতকে ঢেলে সাজিয়ে বৃহত্তর উন্নয়ন। দীর্ঘ ৪৭ বছর পর আমরা পেয়েছি জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০। পরিকল্পনা আছে একমুখী শিক্ষার বাস্তবায়নের। আলাদা শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন।শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো গঠন। অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা। সর্বোপরি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা। তার ধারাবাহিকতায় আপনি দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন দীর্ঘ তিন বছর আগে। ইতোমধ্যে, তিন শতাধিক  কলেজের সরকারিকরণের আদেশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু সরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে আদেশ জারি হতে সময় লেগেছে দুই বছরের মতো। ৩০১টি কলেজ সরকারিকরণের আদেশ জারি হওয়ার পর কেটে গেছে ছয় মাস। এই দীর্ঘ সময় সরকারিকরণের কাজ ঝুলে থাকায় শত শত শিক্ষক সরকারিকরণের সুবিধা না পেয়েই রিক্তহস্তে অবসরে চলে গেছেন। প্রতিদিন কোন না কোন শিক্ষক অবসরে চলে যাচ্ছেন। শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ থাকায় দেখা দিচ্ছে শিক্ষক সংকট। এমপিও চালু থাকলেও যে সকল শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক হতে পারতেন তা বন্ধ আছে। তৃতীয় শিক্ষকেরা এমপিও ছাড়লেও এই সকল কলেজের শিক্ষকরা পাচ্ছেন না। সরকারি ঘোষণার পর যে সকল কলেজে অনার্স-মাস্টার্স আছে সেসকল শিক্ষকদের কলেজ থেকে প্রাপ্ত বেতন নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। আর যাদের জন্য সরকারি কলেজ, সেই ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজে বেতন দিচ্ছে আগের নিয়মেই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

কলেজ সরকারিকরণ একটি বড় কাজ। তদুপরি আপনিই পারেন, আপনি পেরেছেন। আপনার নেতৃত্বে মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় দায়িত্ব দিয়েছে দুইজন সৎ রাজনীতিক ডা: দীপু মনি ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে। আশায় বুক বেঁধেছে শিক্ষা পরিবার।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
 
আপনি মমতাময়ী, আমরা ৩০১ কলেজের আর কোন শিক্ষক এর অশ্রুজল দেখতে চাই না। সরকারি শিক্ষক না হওয়ার যন্ত্রণা নিয়ে অবসরে যাওয়া। তাই আপনার হস্তক্ষেপে এই সকল কলেজের সকল স্তরের শিক্ষকদের অল্প সময়ের মধ্যে পদ সৃজন, এডহক নিয়োগ প্রদান ও পরিপূর্ণ সরকারি কলেজ করে ছাত্রছাত্রী সরকারি সুবিধায় পড়াশুনা করতে পারবে সেই আশায় আমার আপনার নির্দেশনার অপেক্ষায়। সদ্য সরকারি হওয়া হাজার হাজার শিক্ষকসহ সমগ্র শিক্ষা পরিবারের ভরসার জায়গা একমাত্র আপনি।

আমরা স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি আপনি দীর্ঘজীবী হউন, আপনাকে মানবসেবার আরো তৌফিক দান করুন।শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে  সালাম ও প্রণাম গ্রহণ করুন।

শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। জয় বাংলা।

 

প্রদীপ কুমার হালদার
বিভাগীয় প্রধান
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।
সরকারি ইস্পাহানী কলেজ, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

রোজায় স্কুল: শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম, নজরদারিও ঢিলেঢালা - dainik shiksha রোজায় স্কুল: শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম, নজরদারিও ঢিলেঢালা পেনশন প্রজ্ঞাপনে উদ্বিগ্ন ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha পেনশন প্রজ্ঞাপনে উদ্বিগ্ন ঢাবি উপাচার্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত ব্রাজিলে তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ - dainik shiksha ব্রাজিলে তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নামে প্রতারণা, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নামে প্রতারণা, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উচ্চ মাধ্যমিকের সমমান পেলো ‘হেট’ - dainik shiksha উচ্চ মাধ্যমিকের সমমান পেলো ‘হেট’ আটকের ১৩ দিন পরেও বরখাস্ত হননি অধ্যক্ষ - dainik shiksha আটকের ১৩ দিন পরেও বরখাস্ত হননি অধ্যক্ষ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037209987640381