মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের মূলভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নত জাতি গঠন করতে হলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে শিক্ষার মূলভিত্তি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ভবিষ্যতে মেধাসম্পন্ন মানুষ তৈরির জন্য মায়েদের অপুষ্টি দূর করতে মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যবস্থা করেছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন ও অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, ইতিমধ্যে সরকার সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে পেরেছে। মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করা এখন সরকারের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য নিশ্চিত করতে হলে দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। দুর্নীতিকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য অচিরেই নিরসন করা হবে। শীঘ্রই দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত নতুন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা হবে। এ বছর আরো ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তির বর্তমানে বিদ্যমান শিশুদের বয়স ৫ বছরের পরিবর্তে ৪ বছর করা হবে।