মার্চের এমপিওর সঙ্গে বৈশাখি ভাতা দেয়ার উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। শিগগিরই শিক্ষকদের ন্যায্য দানি মেনে নিয়ে আগামী বাজেটে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে বাজেট বরাদ্দ রাখার দাবি জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। বাজেটে জাতীয়করণের ঘোষণা না আসলে ফের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশনে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার (৬ই মার্চ) রাজধানীর মীরপুর সিদ্ধান্ত হাই স্কুলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রামী ঐক্যজোটের জাতীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় নেতারা এ ক্ষোভের কথা জানান। সভায় বকেয়াসহ ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেয়ারও দাবি জানানো হয়। দৈনিকশিক্ষায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সংগ্রামী জোটের প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ নজরুল ইসলাম রনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন,২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় পে-স্কেলভুক্ত হলেও এখনো প্রতিশ্রুত ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট এবং বৈশাখী ভাতা না দেয়ায় বর্তমান সরকারের শিক্ষকদের সঙ্গে বিমাতা সুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর আব্দুল মালেক, মহাসচিব মোঃ রবিউল আলম, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম, অর্থসচিব আবুল বাশার বাদশা, সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, মোঃ মোহসিন উদ্দিন, মোঃ আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুঞ্জুরুল আমিন শেখর এবং মহাসচিব মোঃ বদরুজ্জামান বাদল প্রমুখ।
এর আগে জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১০ থেকে ১৪ই জানুয়ারি পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির পর ১৫ই জানুয়ারি থেকে অনশন শুরু করেন শিক্ষকরা। ওই সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটও পালন করেন তারা। ২৯শে জানুয়ারি মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের আশ্বাসে শিক্ষকরা অনশন ভেঙ্গে ক্লাসে ফিরে যান।