কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত দপ্তরি কাম প্রহরীরা মার্চ মাসের বেতন পাননি। ফলে উপজেলার ৩৪ জন দপ্তরি তাদের সংসার, পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এ দূর্যোগকালীন সময়ে।
টেকনাফ উপজেলায় কর্মরত উপজেলা দপ্তরি কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও টেকনাফ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত দপ্তরি মোহাম্মদ আনোয়ার কামাল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শুধু মার্চ মাস নয় আমরা কি দোষ করেছি জানিনা প্রতি মাসের বেতন আমাদের পেতে মাসের ২০ তারিখ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে আমাদের বেতন ৭ তারিখের মধ্যে প্রদান করা উচিত ছিল কিন্তু আজও আমরা বেতন পাইনি। পরিবারের ৬ জন সদস্য নিয়ে এই কঠিন পরিস্থিতিতে কষ্টে দিন অতিবাহিত করছি।
তিনি দাবি করেন, করোনার প্রভাবে যখন পুরো দেশের অফিস, আদালত সাধারণ ছুটিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত দপ্তরীরা কিন্তু ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। দিনের বেলায় স্কুল বন্ধ থাকায় কাজ কমে আসলেও রাতের প্রহরীর দায়িত্ব কমে আসেনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতের বেলায় বিদ্যালয় পাহারা দিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিরা এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানবেতর জীবন পার করছেন। চক্ষু লজ্জায় পারছেন না ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়াতে। তাই, দ্রুত মার্চ মাসের বেতন দেয়ার দাবি জানান দপ্তরিরা।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।